ভোলার ৪টি আসনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী 

প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:৩৫ পিএম

ভোলার ৪টি আসনে বেসরকারি চূড়ান্ত ফলাফলে আওয়ামী লীগের ৪ প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয় হয়েছে। ভোলা- ১ সদর আসনের বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত চূড়ান্ত ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ ২ লক্ষ ৪২ হাজার ১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা মো: ইয়াছিন নবীপুরী হাতপাখার প্রার্থী পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৮০ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী ধানের শীষের প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর ৭ হাজার ১৭২ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন ।

ভোলা- ২ সদর আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলী আজম মুকুল ২ লক্ষ ২৬ হাজার ১২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩৯ ভোট এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাওলনা মো: ওবায়দুর রহমান ৮ হাজার ২৩২ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।

ভোলা -৩ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ২ লক্ষ ৫০ হাজার ৪১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা প্রতীকের মাওলনা মো: মোসলেহ উদ্দিন পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৫ ভোট এবং তৃতীয় হয়েছেন ধানের শীষের প্রতীকের বিএনপির প্রার্থী মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ২ হাজার ৫০২ ভোট ।

ভোলা -৪ আসনে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ১৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা মো: মহিবুল্লাহ পেয়েছেন ৬ হাজার ২২২ ভোট এবং তৃতীয় হয়েছেন ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপির প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আলম ৫ হাজার ৪৭ ভোট।

এর আগে উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। কনকনে শীত উপেক্ষাকরেও সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট প্রয়োগ করেছে ভোলার ভোটাররা। এ নির্বাচনে ভোলার ৪ টি আসনে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী শাসন আন্দোলন বাংলাদেশ ও কমিউনিষ্ট পার্টির ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। জেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্য ৪৭৬ টি, কক্ষের সংখ্যা ২৭১৪ টি। মোট ভোটার সংখ্যা ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৮২১ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ৫০ হাজার ২১ জন, নারী ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ২২ হাজার ৫৩৩ জন।

ভোলা জেলায় মোট ৫০১ জন প্রিজাইডিং অফিসার,২৮৪৮ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, ৫ হাজার ৭০০ জন পুলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেছেন।

উল্লেখ্য, ভোলার ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ১৫ প্রার্থী। এর মধ্যে ভোলা-১আওয়ামী লীগ প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ (নৌকা), বিএনপি প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টি প্রার্থী মো. কেফায়েত উল্লাহ নজিব (লাঙ্গল), ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মাওলানা ইয়াছিন (হাত পাখা), কমিউনিস্ট পার্টি প্রার্থী এ.কে.এম সোহেল আহমেদ (কাস্তে)।

ভোলা-২আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলী আজম মুকুল (নৌকা), বিএনপি প্রার্থী হাফিল ইব্রাহিম (ধানের শীষ), ইসলামি আন্দোলন প্রার্থী মো. ওবায়েদুর রহমান (হাত পাখা)।

ভোলা-৩ আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন (নৌকা), বিএনপি প্রার্থী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টি প্রার্থী নুরনবী সুমন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মো. মোসলেহ উদ্দিন (হাত পাখা)।

ভোলা-৪ আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (নৌকা), বিএনপি প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আলম (ধানের শীষ), ইসলামি আন্দোলন প্রার্থী মো. মহিবুল্যাহ (হাত পাখা)।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: