গোসল করার পরেও কি অযু করার প্রয়োজন আছে?

প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৫:০৮ এএম

একটি পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। ইসলামকে অন্তরে স্থাপন করে তা পালন করা প্রতিটি মুসলিমের জন্য অতিবো জরুরী। ফরজ গোসলের পর অযুর আবশ্যিকভাবে প্রয়োজন নেই কিন্তু অযু করে নেয়া উত্তম। এটা সোয়াবের কাজ। আমাদের একটা ভ্রান্ত ধারণা যে, আমরা পবিত্র হওয়ার জন্য অযু করি। আসলেই কিন্তু তা নয় মোটেই। অযুর এই পবিত্রতা একটা ভিন্ন পবিত্রতা।

অনেক সময়ই আমাদের নিজেদেরই বোধগম্য থাকে না যে, আমাদের শরীর পবিত্র নাকি অপবিত্র। মুসলিম হিসেবে গোসল করার সময় নিয়তের সাথে ফরজ গোসল (শরীর পবিত্র বা অপবিত্র যাই থাকুক) করতে হয়। এটা একটি ইবাদত। এখন প্রশ্ন হলো, আমরা অযু করি কেন ? আমরা মূলত অযু করি আল্লাহ পাকের একত্ববাদ স্বীকার করার জন্য তাঁর সন্তুষ্টির জন্য অর্থাৎ সকল প্রকার খারাপী থেকে নিজেকে বিরত রাখার জন্য।

নিয়তের সাথে অযু করে নেয়াও আল্লাহ পাকের আরো একটি ইবাদত। একটা উদহরণ দেই, জুম্মার নামাজের আগে আমরা নিয়তের সাথে অযু করে মসজিদের দিকে রওনা দেই। সচরাচর জুম্মার আজান ১২:২০পিএম থেকে ১২:৩০ pm এর মধ্যে হয়। আমরা সচরাচর অযু করি আজান শোনার পর। জুম্মার নামাজ শুরু হয় সচরাচর ০১:৩০ পিএম এ। এর আগে শ্রদ্ধেয় হুজুর সাহেব কর্তৃক খুদবা দেয়া সহ আরো আনুসঙ্গিক কাজ করেন।

এখানে একটি ব্যপার খেয়াল করে থাকবেন, অযু করার পর আমরা কথা-বার্তায়, আচার-আচরণে মোদ্দাকথা সার্বিকভাবেই কোনো অশ্লীল কিছু করি না। মানে আমরা স্বভাবে, আচরণে ভালো থাকি অর্থাৎ আমরা আমাদের মুখ, চোখ, কান প্রভৃতির খারাপী কোনো কাজ করা থেকে বিরত রাখি। সকল প্রকার খারাপী থেকে বিরত থাকা একজন মানুষের জন্য ভালো একটা দিক বা বৈশিষ্ট্য।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: