চতুর্থবারের নির্বাচিত এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম

প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারি ২০১৯, ০৫:৩৮ পিএম

অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মোঃ তাজুল ইসলাম। হ্যাট্রিক জয় সহ চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এবার পেয়েছেন মন্ত্রীত্ব। তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করে তিনি দেশব্যাপী চমক সৃষ্টি করেছেন।

দেশ স্বাধীনের পর কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের কেউ মন্ত্রীত্ব না পেলেও এবার-ই প্রথমবারের মতো মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন মোঃ তাজুল ইসলাম। গত রোববার পর এ খবর জানাজানির পর নিজ নির্বাচনী এলাকা লাকসাম-মনোহরগঞ্জ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। মুহুর্তের মধ্যে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

মোঃ তাজুল ইসলাম একজন ভাগ্যবান ব্যক্তি। রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক অঙ্গনে তাঁর অর্জন সাফল্যগাঁথা। সামাজিক অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখ। দেশ-বিদেশে আলোচিত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। টেলিভিশন টক-শোতে বিজ্ঞ রাজনৈতিক বিশ্লেষক। প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার কর্ণধার। অসংখ্য গুণে গুণান্বিত মোঃ তাজুল ইসলাম কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিম-লে অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত।

এ আসনে হ্যাট্রিক জয় সহ চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্বের মাধ্যমে তিনি লাকসাম-মনোহরগঞ্জ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনকে সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী সংগঠনে রূপান্তরিত করেছেন। গুণী এ রাজনীতিকের আকাশছোঁয়া অর্জনে লাকসাম-মনোহরগঞ্জের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ উচ্ছ্বসিত। একজন সফল রাজনীতিক হিসেবে তাঁকে মন্ত্রীত্ব করার দাবি ছিল কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের। শেষ পর্যন্ত মানুষের আকাঙ্খার প্রতিফলন হলো।

তিনি পেলেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। এলজিআরডি মন্ত্রী হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দেশব্যাপী। ব্যক্তিগত সততা, মেধা ও বুদ্ধিমত্ত্বাকে কাজে লাগিয়ে এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি লাকসাম-মনোহরগঞ্জকে মাইলফলক উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনে সফল হবেন বলে বিজ্ঞমহল মনে করেন।
সূত্র মতে- মোঃ তাজুল ইসলাম এ পর্যন্ত কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে সর্বাধিক ৫ বার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেন। তার মধ্যে চারবার-ই তিনি বিজয়ী হন। ব্যক্তিত্ব, সততা ও যোগ্যতা বিবেচনায় তরুণ বয়সে ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করে বিএনপি’র প্রার্থীকে পরাজিত করে তিনি চমক সৃষ্টি করেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো মনোনয়ন পেলেও ওই নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেননি।

২০০৮ সালে তিনি তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন। সর্বশেষ গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করে বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হন। মোঃ তাজুল ইসলাম যতবারই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন ততবারই আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হয়েছে। ফলশ্রুতিতে তিনি নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে অনবদ্য অবদান রাখেন।

কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মোঃ তাজুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী-জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হওয়ার কারণেই তিনি এ পর্যন্ত টানা ৫ বার দলীয় মনোনয়ন লাভ ও চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

মোঃ তাজুল ইসলাম দেশের একজন শীর্ষ ব্যবসায়ী। তিনি ফেবিয়ান গ্রুপের কর্ণধার। অসংখ্য শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছেন। তিনি যমুনা ব্যাংকের অন্যতম পরিচালক। একাধিকবার তিনি এ ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশীর্বাদপুষ্ট হিসেবে ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ও হলমার্ক কেলেঙ্কারির তদন্ত সহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে তিনি তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বেশ সফলতার পরিচয় দেন। তিনি বিভিন্ন টেলিভিশন টক-শোতে আলোচিত রাজনৈতিক বিশ্লেষক। টেলিভিশন টক-শো ও বিভিন্ন সভা-সেমিনারে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা- তুলে ধরে দলীয় ফোরামে তিনি বেশ প্রশংসিত হয়েছেন।

কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে মোঃ তাজুল ইসলাম কা-ারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ। একসময় দুর্বল সাংগঠনিক কাঠামোয় থাকা লাকসাম-মনোহরগঞ্জ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনকে সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী করতে তিনি ধৈর্য্য ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। বর্তমানে অতীতের যে কোন সময়ের চেয়েও এ জনপদে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের ভীত শক্তিশালী। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণেই লাকসাম উপজেলা ও লাকসাম পৌরসভা এবং দু’ উপজেলার সকল ইউপি বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। লাকসাম পৌরসভাকে সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দিত পৌরসভায় রূপান্তর, লাকসাম পাইলট হাই স্কুল, মনোহরগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ এবং নীকান্ত ডিগ্রী কলেজকে সরকারিকরণ-সহ এ জনপদে শিক্ষা, চিকিৎসা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে তিনি অনন্য নজির স্থাপন করেছেন।

মোঃ তাজুল ইসলাম সকল ক্ষেত্রেই একজন ভাগ্যবান ব্যক্তি। সামাজিক, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক অঙ্গনে তাঁর অর্জন সাফল্যগাঁথা। ব্যক্তিগত সততা, মেধা ও বুদ্ধিমত্ত্বার কারণে শেষ পর্যন্ত তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। তাঁর এ অর্জন লাকসাম-মনোহরগঞ্জ তথা কুমিল্লাবাসীকে গৌরবান্বিত করেছে। অভূতপূর্ব এ অর্জনে সর্বস্তরের মানুষ মহাখুশি। মোঃ তাজুল ইসলাম এলজিআরডি মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের ভালোবাসায় ফুলে ফুলে সিক্ত। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মোঃ তাজুল ইসলাম এলজিআরডি মন্ত্রণালয়কে ‘মডেল’ মন্ত্রণালয়ে রূপান্তরিত করে প্রধানমন্ত্রী-জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে আরো অধিক সফল হবেন বলে বিজ্ঞ মহল মনে করেন।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: