১৫ বছরের তরুণী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা!
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী (১৫) অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ওই কিশোরী বেতের কাজ করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন।
জানা গেছে, গত রমজান মাসে উপজেলার হাটশিরা গ্রামে সোহেল মিয়া (৩০) নামে এক যুবকের বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই তরুণী। এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনার কোনো মীমাংসা হয়নি।
সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরী গত রোজার মাসে সোহেল মিয়ার বাড়িতে বেতের কাজ করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। একদিন বেতের ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে ওই কিশোরীল মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করেন সোহেল। সেখানেই শেষ নয়, ধর্ষণের পর তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন ধর্ষক সোহেল মিয়া। এই ভয়ে ঘটনাটি কাউকে জানাতে পারেনি ওই কিশোরী। কিন্তু গত ৭ মাস ধরে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়েছে।
পরে এ ঘটনা নিয়ে কয়েকবার দেন-দরবার করা হলেও সোহেলের পরিবার ধর্ষণের কারণে ৭ মাস অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া ওই কিশোরীকে ঘরে তুলে নিতে রাজি হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, আগত সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের স্বীকৃতির জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ওই কিশোরী।
ভূক্তভোগী ওই কিশোরী বলেন, গত রোজার মাসে অভাবের তাড়নায় সোহেলের বাসায় বেতের কাজ করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় সে। এ কথা কাউকে বললে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সোহেল। তাই মৃত্যু ও সম্মানের ভয়ে ঘটনার ব্যাপারে কাউকে জানায়নি। এক পর্যায়ে শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলে ঘটনার ব্যাপারে মাকে জানায় সে।
এ বিষয়ে নির্যাতিতা কিশোরীর মা জানান, শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলে গত ৩ জানুয়ারি স্থানীয় এক ডায়াগোনেস্টিক সেন্টারে মেয়ের পরীক্ষা নিরীক্ষা করান তিনি। জানা যায়, তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। পরে এ ব্যাপারে মেয়ের কাছে জানতে চাইলে ঘটনার ব্যাপারে জানায় সে। পরে গত ৪ জানুয়ারি সোহেলকে সামনে রেখে স্থানীয়দের মাধ্যমে দেন-দরবার করে তাদের পরিবার। কিন্তু সোহেলের পরিবার তার মেয়েকে গ্রহণ করতে আপত্তি জানায়। এ ব্যাপারে এখনও তারা আপোস করতে রাজি আছেন। তাই এ ঘটনার ব্যাপারে পুলিশকে এখনও জানাননি ওই কিশোরীর পরিবার।
এ ব্যাপারে জানতে সোহেল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সোহেলের বাবা ইউসুফ আলী।
ইউসুফ আলী জানান, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ওই কিশোরীকে পুত্রবধূ হিসেবে ঘরে আনার তাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। এ সময় কিশোরীর নামে ৩০ শতক জমি ও ৫ লাখ টাকার কাবিন দাবি করে তার পরিবার। তাই পরবর্তীতে কোনো আপোস-মীমাংসা হয়নি বলেও জানান তিনি।
বিডি২৪লাইভ/টিএএফ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: