দুই অপহরণকারীকে ধরিয়ে দিল কলেজ ছাত্র

প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৪৪ পিএম

ময়মনসিংহ থেকে ট্রেনে করে গৌরীপুরে যাওয়ার সময় আকিক (২০) নামে এক কলেজ ছাত্র দুই অপহরণকারীকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে। এ সময় মেহেদী হাসান মিরান (৬) নামে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করা হয়।

ঘটনাটি ঘটে রবিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহ থেকে ভৈরবগামী ঈশাখাঁ এক্সপ্রেস ট্রেনে।

কলেজ ছাত্র হিমায়েতুল হায়াত আকিক গৌরীপুর পৌরসভার পশ্চিম ভালুকা এলাকার বাসিন্দা।

অপহৃত শিশু মেহেদী হাসান মিরানের (৬) বাড়ি কুমিল্লার কোতোয়ালীর থানার টমটম ব্রিজ এলাকার সৌদি প্রবাসী তোফায়েত খানের ছেলে।

অপহরণকারী রবিউল ইসলাম নাহিদ (১৫) ও মাসুদ রানা (১৬) ওই একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

কলেজ ছাত্র আকিক জানায়, দুপুরে ট্রেনে করে ময়মনসিংহ থেকে গৌরীপুরে যাওয়ার সময় তাঁর পাশের আসনেই স্কুল ব্যাগসহ এক শিশুর দুই হাত চেপে ধরে রাখছিল অপর দুই অপহরনকারীরা। 

এ সময় তাদের দেখে সন্দেহ হলে ট্রেনের অন্য যাত্রীদের সহায়তায় দুই কিশোরকে ধরে গৌরীপুর জিআরপি পুলিশে দেয়।

এর আগে শনিবার (১২ জানুয়ারি) ওই শিশু বিদ্যালয় যাওয়ার পথে ওই দুই কিশোর তাকে অপহরণ করে। অপরহরণকারী দুই কিশোরের বাড়ি কুমিল্লার একই এলাকায় বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

গৌরীপুর জিআরপি ফাঁড়ির ইনচার্জ ওবায়দুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কুমিল্লা থেকে শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে আসে ওই দুই অপহরনকারী। উদ্ধারকৃত শিশু ও দুই অপহরণকারীকে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সম্ভবত অপহরণকারীরা শিশুটিকে নিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকা নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর হয়ে ভারতে পাচার করতে চেয়েছিল।

শিশুটির অভিভাবককে মুঠোফোনে খবর দেয়া হয়েছে। শিশুটির মা নুসরাত জাহান ও কুমিল্লা কোতোয়ালী থানার পুলিশ উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে নেয়ার জন্য ময়মনসিংহে পথে রওনা হয়েছেন বলেও তিনি জানান।

অপহৃত শিশুটির মা নুসরাত জাহান জানান, শনিবার সকাল ১১ টায় বিদ্যালয় থেকে বাসায় আসার সময় নিখোঁজ হয়। অনেক খোজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে ওইদিন কুমিল্লা কোতোয়ালী থানায় তিনি একটি জিডি করেন।

তিনি আরও বলেন, অপহরণকারী যুবক রবিউল ইসলাম নাহিদ তার পাশের বাসার এক ভাড়াটিয়ার ছেলে। মাসুদ রানার পরিচয় তিনি জানেন না।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: