বিএনপিকে ইসি সচিবের পরামর্শ

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:২৫ পিএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করে আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার জন্য বিএনপি যে দাবি তুলেছিল তা বাতিল করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রয়োজনে তাদের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

সোমবার (১৪ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত ৪২তম বৈঠক শেষে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে এ কথা জানান নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

তিনি বলেন, কমিশন বলেছে, কেউ সংক্ষুব্ধ হলে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে গিয়ে মামলা করতে পারেন। কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে সংগ্রহ করার কথা জানিয়েছে ইসি।

কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গত ৩ জানুয়ারি কমিশন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে এবং গত ছয় জানুয়ারি আরেকটি স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ বলেছে, ঐক্যফ্রন্টের অভিযোগ সত্য নয়। কমিশন এগুলো নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করেছেন।

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল ও নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এগুলো আর এখন করার সুযোগ নেই। যদি কেউ সংক্ষুব্ধ হয়, তাহলে তারা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে গিয়ে মামলা করতে পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আইনে এখনও আছে। হাইকোর্টে মামলার জন্য আলাদা বেঞ্চ আছে। ইতোমধ্যে তিনটি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।

আসন ও কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আমাদের কাছে আসনভিত্তিক ফলাফল আছে। কিন্তু কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল সংগ্রহ করা হয় না। কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন সেভাবে সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

সোমবার সভায় চারটি এজেন্ডা ছিল। সভায় সংরক্ষিত নারী আসনের তফসিল নির্ধারণ, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের তফসিল নির্ধারণ, পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্মারকলিপি বিষয় আলোচনা হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় তিন কমিশনার, ইসি সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার দেশের বাইরে অবস্থান করায় তিনি সভায় উপস্থিত ছিলেন না।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৫৭টি আসন। আর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট ৮টি আসনে জয় পেয়েছে।

এই নির্বাচন বাতিল করে ফের ভোটগ্রহণের জন্য বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গত ৩ জানুয়ারি কমিশনে স্মারকলিপি দেয়।

এর পাল্টা হিসেবে ৬ জানুয়ারি আরেকটি স্মারকলিপি দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এতে ঐক্যফ্রন্টের অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে দলটি।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: