রাজশাহীতেও হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০৪:০৯ পিএম

রাজশাহীতেও গড়ে উঠছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার। শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার ভেতরে দুই দশমিক তিন শূন্য একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠছে এটি। নভোথিয়েটার ভবন নির্মাণ শেষে চালু হবে ২০২০ সালের মাঝামাঝি এমন আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের।

জানা গেছে, এ নভোথিয়েটারে আধুনিক প্রযুক্তির ডিজিটাল প্রজেক্টর সিস্টেমযুক্ত প্লানেটরিয়াম, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ডিজিটাল এক্সিবিটস, ফাইভ-ডি সিমিউলেটর থিয়েটার, টেলিস্কোপ, কম্পিউটারাইজড টিকেটিং অ্যান্ড ডেকোরেটিং সিস্টেমসহ নানা সুবিধা থাকবে। 

ভবন নির্মাণ শেষ হলে দ্রুত অন্যান্য যন্ত্রাংশ সংযোজন হবে। ঢাকার বাইরে শুধু রাজশাহীতেই হচ্ছে এ নভোথিয়েটার। ২০১২ সালে ওই সময়ের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের উদ্যোগেই প্রকল্পটি গ্রহণ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, ২২২ কোটি তিন লাখ টাকা ব্যয় ধরে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, রাজশাহী স্থাপন’ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিল রাসিক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্পটি এখন বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত অধিদফতর।

আশরাফুল হক আরও জানান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা বিশেষত মহাকাশ সম্পর্কিত জ্ঞান সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয় করা, বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি এবং বিজ্ঞানসংশ্লিষ্ট কুসংস্কার দূর করতে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনাও আছে। বিজ্ঞানমনস্ক আধুনিক নাগরিক তৈরিতে বিজ্ঞানের সুযোগ-সুবিধা রাজধানীর বাইরে ছড়িয়ে দেয়াই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

জানা গেছে, প্রকল্পটি ২০১৫ সালের আগস্টে পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় অনুমোদন পায়। ওই বছরের ডিসেম্বরে যায় একনেকে। এরপর ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় পাস হয় এ প্রকল্প। প্রথমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সময়কাল ধরা হয়েছিল ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত।

একনেক সভায় সময়সীমা ৬ মাস বাড়িয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়। প্রকল্পের তদারকি কর্মকর্তা রাজশাহী গণপূর্ত অধিদফতরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অমিত কুমার দেব বলেন, ২২২ কোটি ৩ লাখ টাকার মধ্যে কেবল অবকাঠামো নির্মাণেই ব্যয় হচ্ছে ৮০ কোটি ১০ লাখ টাকা। রাজধানী ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিডেট এই কাজ বাস্তবায়ন করছে।

অমিত কুমার দেব আরও বলেন, গত বছরের ২২ অক্টোবর শুরু হয়েছে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ। নির্ধারিত স্থানটিতে বড় বড় গাছসহ চিড়িয়াখানার বেশ কিছু প্রাণীর খাঁচা ছিল। এগুলো সরিয়ে জমি বুঝিয়ে দিতে বিলম্ব হয়েছে। ফলে প্রকল্পের কাজও শুরু হয়েছে বিলম্বে।

সরেজমিন প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নভোথিয়েটারের চারতলাবিশিষ্ট অফিস ব্লকের নির্মাণ কাজ চলছে। ৭ হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের এই অংশের ভিত্তি পড়েছে কেবল। চলছে মাটি ভরাট। এই অংশের ভরাটকাজ শেষ হলেই ৩৯ হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের প্লানেটোরিয়াম ব্লকের নির্মাণ কাজ শুরু করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা জানিয়েছেন, জমি বুঝে পাওয়ার তিন দিন পরই নির্মাণ কাজে হাত দিয়েছেন তারা। কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে। বেঁধে দেয়া আঠারো মাসের মধ্যেই অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ করার আশাবাদ তাদের।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: