ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করলেন শেখ শহীদুল

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:৩৪ এএম

সংলাপ নাকি শুভেচ্ছা বিনিময় এ নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে তৈরি হয়েছে অস্পষ্টতা। রবিবার (১৩ জানুয়ারি) ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে আবারও সংলাপের জন্য গণভবনে ডাকা হবে। এর ঠিক পরের দিন বলেন, শুভেচ্ছা জানানোর জন্য দলগুলোকে ডাকা হবে। অন্যদিকে এইচ টি ইমাম বলেন, সংলাপের জন্যই রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকা হবে গণভবনে।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) একটি বেসরকারি টেলিভিশন টকশোতে ‘সংলাপ নাকি শুভেচ্ছা বিনিময়’ আলোচনায় জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম এ নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, রাজনীতিতে আমাদের দলগুলোর পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আমি মনে করি, এই বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ, ড. কামাল হোসেন যখন প্রস্তাব দেন নির্বাচনের পূর্বে তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন। এর আগে কিন্ত ওবায়দুল কাদের বলছিলেন, যে নির্বাচনে যাওয়ার আগে কোনো সংলাপ হবে না কিন্তু দেখা গেল, যে ড. কামালের প্রস্তাবে শেখ হাসিনা রাজি হয়ে গেলেন। তিনি যখন সব রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে একে একে সংলাপে বসলেন তখন পরিবেশ অনেকটাই শান্ত হয়ে এসেছিল। অবশেষে সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহন করল, সুতরাং এই যে যোগাযোগ পরস্পরের মধ্যে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে যে ওবায়দুল কাদের সাহেব বললেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো সংলাপের প্রয়োজন নেই। এটা তিনি একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন, পরে আবার বললেন নির্বাচনে যারা অংশ নিচ্ছেন তাদের সবার সাথেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সংলাপ হবে। সোমবার (১৪ জানুয়ারি) বললেন শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য গণভবনে ডেকেছেন রাজনৈতিক দলগুলোকে। এর পরের দিনই তিনি বলেন, সংলাপ হচ্ছে গণমাধ্যম কর্মীদের মনগড়া।

শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, সংলাপ আর শুভেচ্ছা এক জিনিস না। শুভেচ্ছা জানাতে যায় তারা, যারা শুভাকাঙ্খি। (শুভ+ইচ্ছা) বাংলায় সন্ধি হল শুভেচ্ছা। সুতরাং যারা শুভাকাঙ্খি তারাই কেবল শুভেচ্ছা জানাতে যাবেন। এখন বিএনপি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শত্রু নয় প্রতিপক্ষ, এটাই রাজনৈতিক ধর্ম। বিদেশে যখন নির্বাচন হয়, ভোটে যারা হেরে যান তারা জয় লাভকারী দলকে কনগ্রেজটস জানায়।

অতএব, আমাদের দেশের যে সংস্কৃতি এটা এখনো আমাদের মধ্যে আসেনি। এই সংস্কৃতি আমাদের কবে আসবে, আমরা পরস্পরকে শত্রু নয় প্রতিপক্ষ ভাবব। এতে আমাদের মধ্যে যোগাযোগটা অক্ষুন্ন থাকবে এবং আমরা পরস্পরের মঙ্গল কামনা করব। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করব। নীতির ডিফেরেন্স থাকবে, পদের ডিফেরেন্স থাকবে কিন্তু লক্ষ্যের ডিফেরেন্স থাকবে না, আমাদের লক্ষ্য থাকবে একটাই আমাদের দেশের জন্য জাতির মঙ্গলের জন্য কাজ করে যেতে হবে। সেই লক্ষ্যে যদি প্রধানমন্ত্রী ডাকেন হোক তা শুভেচ্ছা আর সংলাপ, সেখানে অবশ্যই রাজনৈতিক নেতারা থাকবেন, এতে বিএনপি, ঐক্যফ্রন্ট আর গণফোরাম যারাই হোক না কেন? সব রাজনৈতিক দল এক জায়গায় আলোচনায় বসলে সবার মধ্যে একটা সৌহার্দ সম্পর্ক তৈরি হবে এতে দেশ ও জাতির জন্য ভাল হবে।

বিডি২৪লাইভ/এসএ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: