খালেদা জিয়ার ১১ মামলার শুনানি পিছিয়েছে

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ০৩:২৪ পিএম

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামির বিরুদ্ধে হত্যা-রাষ্ট্রদ্রোহ-নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা ১১টি মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা এসব মামলার অধিকাংশই উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত রয়েছে উল্লেখ করে আদালতের কাছে সময়ের আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়াউদ্দিন জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খালেদার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হলো- দারুস সালাম থানার নাশতার আট মামলা, রাষ্ট্রদ্রোহের একটি ও যাত্রাবাড়ী থানার দুটি মামলা।

মামলাগুলোর মধ্যে একটির অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য ও বাকি ১০ মামলার অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য রোববার (২০ জানুয়ারি) দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলাগুলোর বেশিরভাগই হাইকোর্টে স্থগিত আছে জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে বিচারক পরবর্তী দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেন।

প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে করার অভিযোগে গত বছর ২৫ জানুয়ারি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়।

এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামের এক যাত্রী।

ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক এসআই কে এম নুরুজ্জামান। ওই বছরের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বশির আহমেদ।

অন্যদিকে, ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।

গত বছরে বিভিন্ন সময়ে মামলাগুলোয় চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। সবগুলো মামলায় খালেদা জিয়াকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। পরে খালেদা জিয়া মামলাগুলোয় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।


বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: