যেখানে প্রেম-যৌনতায় উৎসাহ দেন মা-বাবা!

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:৪৮ পিএম

সন্তান প্রেম করছে শুনলে কোনও কোনও বাবা-মা রেগে যান। অনেকে আবার সম্পর্ক মেনেও নেন। কিন্তু ভালবাসার মানুষটিকে সময় দিতে দূরে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া, কিংবা একসঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ করে দেওয়া, এসব ভাবতেই পারেন না কেউ। কিংবা ধরুন বিয়ে না করে চিরকাল লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা, কোনও বাবা-মা মেনে নিতে চান না। বরং, সন্তানের এই ভাবনা শুনলে আঁতকে উঠবেন অনেকেই।

কিন্তু জানেন কি, এমন এক গ্রামের কথা, যেখানে প্রেম-যৌনতায় কোনও বাধা নিষেধ নেই। মা-বাবা নিজেই তাঁর সন্তানকে লিভ-ইন করতে বলেন।

ক্রেয়াংদের বাস কম্বোডিয়ার উত্তর-পূর্বের একটি দ্বীপ অঞ্চলে। এই গ্রামে মা-বাবা নিজেই তার সন্তানকে লিভ-ইন করতে বলেন। এমনকি পছন্দের সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটাতে ‘লাভ হাট’ বা ভালোবাসার কুঁড়ে ঘরও তৈরি করে দেন তারা। অদ্ভুত এই সামাজিক রীতি দেখা যায় কম্বোডিয়ার ক্রেয়াং সম্প্রদায়ের মাঝে।

কম্বোডিয়ার উত্তর-পূর্বে একটি দ্বীপ অঞ্চলে ক্রেয়াংদের গ্রাম। যা ‘প্রেমের গ্রাম’ নামেই পরিচিত। প্রযুক্তি কিংবা আধুনিকতা; কোনো কিছুর ছোঁয়া লাগেনি এই গ্রামে।

এখানে মেয়েরা ঋতুবতী হলেই মা-বাবা তাকে সঙ্গী বাছাইয়ের স্বাধীনতা দেন। অন্যদিকে ছেলেদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। তারা প্রাপ্তবয়স্ক হলেই লাগাম আলগা করে পরিবার।

ক্রেয়াংদের ছোট্ট গ্রামটি জলাশয়ে ঘেরা। সেই জলাশয়ে ওপর তৈরি করা হয় কুঁড়ে ঘর। নিজ হাতে ছেলে-মেয়েদের জন্য ছোট্ট এই মাটির ঘর তৈরি করেন মা-বাবা। যাতে তাদের সন্তান সঙ্গীর সঙ্গে নিশ্চিন্তে সময় কাটাতে পারেন। বুঝে নিতে পারেন একে অপরকে। অনেক বছর ধরেই গ্রামটি এই নিয়মেই চলছে।

অনেক বছর ধরে তাই গ্রামে এই নিয়ম চলছে। যাতে প্রেমিক-প্রেমিকাকে কেউ বিরক্ত করতে না পারে বা অস্বস্তিতে না পড়ে, সেদিকে নজর রাখে তাদের বাবা-মা। বিয়ে এই গ্রামে প্রচলিত নয়। প্রেমিক-প্রেমিকা কয়েক মাস একে অপরকে বুঝে নেওয়ার পরই শুরু করেন লিভ ইন। সন্তানের জন্মও হয় লিভ ইন সম্পর্কে থেকেই।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: