চাচার ধর্ষণে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা প্রতিবন্ধী তরুণী; এরপর...

প্রকাশিত: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৫:০৪ পিএম

বাবা প্রতিবন্ধী। দুটি মেয়েও প্রতিবন্ধী। একটি মেয়ে সুস্থ থাকলেও তার স্বামীর দুই চোখ অন্ধ। সাতক্ষীরার এমন একটি পরিবারের এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী চাচা পরিচয়ের ৫৭ বছর বয়সের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের হাওয়ালখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ধর্ষকের নাম আকরাম আলী (৫৭)। সে ওই গ্রামের ফকির সরদারের ছেলে।

ধর্ষণের শিকার ওই প্রতিবন্ধীর স্বজনরা জানান, পরিবারের অগোচরে হাওয়ালখালি গ্রামের প্রতিবন্ধী ২২ বছরের ওই তরুণীকে ভুলিয়ে ভালিয়ে টানা চার মাস যাবত ধর্ষণ করে আসছিলো প্রতিবেশী আকরাম। এরই মধ্যে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে ধর্ষক আকরাম আলী বিষয়টি তার স্ত্রী মাসকুরাকে জানায়। পরে তারা অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটিকে নিয়ে যায় কলারোয়ার সিংহলাল গ্রামে মেয়ে ফেরদৌসির বাড়িতে। সেখানে রেখে তার গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করলে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত এক সপ্তাহ আগে তার পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত নিয়ে আসেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। সেখানে তার গর্ভপাত ঘটানো হয়। বর্তমানে তার সেখানে চিকিৎসা চলছে।

এদিকে ধর্ষক আকরাম আলী, তার স্ত্রী মাসকুরা খাতুন এবং মেয়ে ফেরদৌসি ও মেয়ের জামাই রেজাউল ইসলাম বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পুলিশ তাদের খুঁজছে।

বাঁশদহা ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী মেয়েটির মা জানান, তার মেয়ে এখনো অসুস্থ। তার চিকিৎসা চলছে। তিনি এই অপরাধের সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মহিদুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে ধর্ষক আকরাম আলীসহ চার জনকে আসামি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বিডি২৪লাইভ/এএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: