স্ত্রীকে হত্যার পর বিভিন্ন অঙ্গ কেটে পানিতে ফেলে দেয় শাকিল

প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৮:৪৩ এএম

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে গৃহবধূ রেহেনাকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। স্বামী শাকিল ও তার বন্ধু আনারুল দুজনে মিলে স্ত্রীকে খুন করে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে তারা।

জবানবন্দিতে শাকিল ও আনারুল জানায়, করতোয়া মরা নদীর পাড়ে রেহানার সম্মতিক্রমে শারীরিক মেলামেশা করা হয়। মেলামেশার পর নদীতে গোসলের সময় দুজন মিলে রেহেনাকে প্রথমে ডুবিয়ে হত্যা করে। এরপর তার লাশ নদী থেকে তীরে তুলে এনে আনারুল ছুরি দিয়ে গলা ও দুই স্তন কেটে আলাদা করে পানিতে ফেলে দেয়। স্বামী শাকিলের সাথে থাকা কুড়াল দিয়ে আনারুল নিহত রেহানার দু’হাত কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে কচুরিপানার মধ্যে নিক্ষেপ করে। তারপর রেহানার লাশ কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রেখে দু’জনে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায়।

অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় এমন নৃশংস হত্যাকান্ড সম্পন্ন করে বলে গত সোমবার গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমুলক এ জবানবন্দি দেয় তারা।

আদালতে ১৬৪ ধারার এ জবানবন্দিতে শাকিল বলেন, ১৩ বছরের সংসার জীবনে সামান্য মনমালিন্যের কারণে নিজ স্ত্রীকে বন্ধুর সহযোগিতায় গত ২৪ জানুয়ারী রাত আনুমানিক ১০টায় গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের গুমানীগঞ্জ মীরকুচি মদনতাইড় নামক স্থানে হত্যা করে। আর ঘটনার দুদিন আগে শাকিল মাত্র ১৫শ’ টাকার বিনিময়ে তার বন্ধু আনারুলকে এই জঘন্যতম হত্যাকান্ডটি সংঘঠিত করার জন্য ভাড়া করে।

গত ১ ফেব্রুয়ারী দুপুরে এলাকাবাসী কচুরিপানার নীচে রেহেনার লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রেহেনার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এরপর তদন্তের এক পর্যায়ে ওই দিনই রেহানার শ্বশুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে তার ছেলে শাকিল এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার তথ্য দেয়। পুলিশ দুদিন টানা অভিযান চালিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারী কুড়িপাইকা এলাকা থেকে শাকিলকে গ্রেফতার করে।

তার দেয়া তথ্যমতে গোবিন্দগঞ্জ শহরের মাছবাজার এলাকা হতে আসামি আনারুলকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের দেয়া তথ্যনুযায়ী ঘটনাস্থল হতে হত্যাকান্ডে ব্যবহার করা ছুরি ও শাকিলের বাড়ি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কুড়ালটি উদ্ধার করা হয়।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি এএকেএম মেহেদী হাসান জানান, আসামি শাকিল ও আনারুল উভয়ই মাদকাসক্ত। তাদেরকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সূত্র: নয়াদিগন্ত।

বিডি২৪লাইভ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: