সেপটিক ট্যাংক থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৩:২৯ পিএম

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার একটি মাদরাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে জাহাঙ্গীর হোসেন (২৪) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় চার ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম একসরা দাখিল মাদরাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন, সে উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের খোকন গাজীর ছেলে। পেশায় তিনি মোটরসাইকেল চালক ছিলেন। ভাড়ায় মটরসাইকেল চালাতেন। 

আটককৃতরা হলেন, আশাশুনি উপজেলার মধ্যম একসরা গ্রামের বশির সানার ছেলে আব্দুল আজিজ (৪০), একই গ্রামের সালামুদ্দিন খোকন কারিকরের ছেলে আল আমিন কারিকর (২৫), আব্দুল্লাহ কারিকরের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩০) ও শরিফুল ইসলাম (২৫)।

আনুলিয়া ইউনিয়নের দফাদার আব্দুস সাত্তার জানান, ঘটনার আগের রাতে অর্থাৎ বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রবিউল, আল আমিন ও আব্দুল আজিজ একসরা লঞ্চঘাটে যাওয়ার কথা বলে জাহাঙ্গীরের মোটরসাইকেল ভাড়া করে।এরই মধ্যে একসরা দাখিল মাদরাসার কাছে পৌঁছালে জাহাঙ্গীরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এই তিনজন। ওই রাতে মরদেহ মাদরাসার সেপটিক ট্যাংকে ফেলে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় ওরা।

এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিহতের স্ত্রীর সাথী খাতুন দফাদারের কাছে এসে জানান, তার স্বামী কে পাওয়া যাচ্ছেনা। পরবর্তীতে,  মটরসাইকেল ভাড়া নেওয়া আলমগীর কে খবর দিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করার একটি পর্যায়ে সে স্বীকার হয় শ্বাষরোধ করে হত্যার বিষয়টি। স্বীকারোক্তির পরে তাকে আটক করে অন্যান্যদের ডেকে এনে পুলিশে দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে, স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশি ফোর্স এসে মাদরাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন।

আশাশুনি থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, স্বীকারোক্তি অনুযায়ি চার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অন্যদিকে,  মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। এ বিষয়ে মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলছে।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: