মিডিয়া ট্রায়াল নয়, মিতুর দায় আদালত পরীক্ষা করুক

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৭:৪৩ পিএম

সম্প্রতি ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যার ঘটনায় স্ত্রী ডা. তানজিলা হক চৌধুরী মিতু ও তার পরিবারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী বক্তব্যের কারণে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী, লেখক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, নারী অধিকার কর্মী, সাবেক ছাত্রনেতা ও সাংস্কৃতিক কর্মীসহ ৪৯ জন পেশাজীবী এই বিষয়ে লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন। 

বিবৃতিতে তারা বলেছেন- ৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রামে ডা. আকাশের আত্মহত্যার ঘটনায় স্ত্রী ও তার পরিবারকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টিকারী বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে, যে কারণে বিচারাধীন এই ঘটনাটি ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ এর দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি মামলা হওয়ার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও মিতুকে গ্রেফতার করেছে এবং পরে রিমান্ডে নিয়েছে; যা উদ্বেগজনক। মিডিয়া ট্রায়াল নয়, আকাশের আত্মহননে মিতুর দায় আদালত পরীক্ষা করুক।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগেই আকাশের আত্মহননের দায় যেনো অন্যায্যভাবে মিতুর কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে তাকে ও তার পরিবারকে লোকলজ্জা ও সামাজিক চাপের মধ্যে ফেলা না হয়। কারণ, বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগে কারও ওপর দোষ চাপানো হলে সেটিও অবিচার হবে এবং সেখানেও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে।

ডা. আকাশের মৃত্যুর বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, একজন তরুণ চিকিৎসকের করুণ আত্মহনন আমাদের ব্যথিত করে। ভবিষ্যতে আর কেউই যেন কোনেও পরিস্থিতিতেই আত্মহত্যার পথ বেছে না নেয় সেই লক্ষ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেওয়া দরকার।

প্রসঙ্গত, ৩১ জানুয়ারি ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন ডা. আকাশ। আত্মহত্যার আগে তিনি স্ত্রী মিতুর বিরুদ্ধে ‘বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক’ ও ‘প্রতারণার’ অভিযোগ এনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এই ঘটনায় সেদিন রাতেই নন্দনকানন এলাকা থেকে ডা. মিতুকে আটক করে পুলিশ। পরদিন ১ ফেব্রুয়ারি বিকালে আকাশের মা জোবেদা খানম চান্দগাঁও থানায় মিতুসহ ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

বিডি২৪লাইভ/এএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: