আকাশের বিয়ে ফাঁদ! 

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৩৩ এএম

ছোটবেলা থেকে শিমুর স্বপ্ন সে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হবে। দীর্ঘ লালিত সেই স্বপ্ন পূরণে শেষমেশ নিজেই একটি বুটিক এর দোকান দেন। বেশ ভালোই চলছিল শিমু দিন। একটা সময় গিয়ে যুক্ত হয়েছিলেন বেশ কিছু সংঘঠনের সাথে। পাশাপাশি চলছিল লেখাপড়াও।

হঠাৎ একদিন রাতে শিমু মোবাইলে কল আসে। ফোনের অপর প্রাপ্ত থেকে কেউ একজন বলেন, তার (শিমুর) এক বন্ধুর কাছ থেকে মোবাইল নাম্বার নিয়েছেন তিনি। যিনি আসলে শিমুর চাইতে বয়সে বড়। সে শিমুর সঙ্গে দেখা করতে চান।

এ ঘটনার পরদিন ওই লোকটি দেখা করে শিমুর সাথে। জানায় তার দোকান আছে রাজধানীর মৌচাক মার্কেটের নিচ তলায়। এ কারণে তিনি সেখানে দাড়াঁতে পারবে না। তাই বলে ওই লোকটা শিমুকে সাথে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি’তে যান। সেখানে গিয়ে ওই লোকটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন শিমু।

ওই লোকটি জানায়, তার নাম আকাশ (ছদ্মনাম)। ঢাকার কমলাপুরে তাদের বাড়ি রয়েছে। এরপর আকাশের সাথে শিমুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নিয়মিত আকাশের সাথে ঘুরতে বের হতে থাকে শিমু। তাছাড়া প্রতিনিয়তই তাদের মোবাইলে কথা হতো।

কিছুদিন যেতে না যেতেই আকাশ শিমুকে জানায়, সে শিমুকে ভালোবাসে। কিন্তু শিমু জানায় সে আকাশকে ভালো বন্ধু মনে করে। এর বাইরে অন্য কিছুই না।

এরপর কিছুদিন বাধেই ২০১১ সালের অক্টোবরের ৭ তারিখে জুমার নামাজের পরে শিমুকে ফোন দেয় আকাশ। বলে সে শিমুকে বিয়ে করবে ‘আর তা আজই’। ওইদিনই শিমু তার এক বান্ধবীকে সাক্ষী রেখে আকাশকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর বেশ কিছুদিন ভালোই কাটছিল শিমু ও আকাশের সম্পর্ক।

কিন্তু বেশ কিছুদিন পর শিমু লক্ষ্য করল আকাশ রাতে বাসায় ফেরে না। কিছু জিজ্ঞেস করলে নানান অজুহাত দেখায়। বিষয়টা খটকা লাগে শিমুর কাছে। এরই মধ্যে হঠাৎ একদিন শিমুর কাছে একটা ফোন আসে। অপর প্রান্ত থেকে কেউ একজন শিমুকে জানায় আকাশের আরও স্ত্রী আছে। তিনি আরও বিয়ে করেছেন।

এ প্রসঙ্গে আকাশকে জিজ্ঞেস করলে পুরো ঘটনা খুলে বলেন তিনি। তারপর কিছুদিন বাধে নানান ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয় আকাশ। এরপর হঠাৎ একদিন শিমুকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে বাসার সব জিনিসপত্র নিয়ে অজানা কোন গন্তব্যে পাড়ি জমায় আকাশ।

সেই থেকে আজও পর্যন্ত কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি আকাশের!

(এই লেখাটি দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনের ফাঁদ অনুষ্ঠানের অবলম্বনে করা)

বিডি২৪লাইভ/এইচকে/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: