বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানায় ৪৪৭ প্রজাতি মাছের সন্ধান

প্রকাশিত: ০৩ মার্চ ২০১৯, ০৮:৫২ এএম

বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানায় সর্বমোট ৪৩০ প্রজাতির আহরণযোগ্য মাছের সন্ধান মিলেছে। পাওয়া গেছে ১৭ জাতের আহরণযোগ্য সামুদ্রিক চিংড়ির সন্ধান। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানায় মাছ, সামুদ্রিক প্রাণী ও সামুদ্রিক উদ্ভিদের ওপর গবেষণার জন্য সংগৃহীত গবেষণা জাহাজ ‘আরভি মীনসন্ধানী’ আগামী জুন মাস থেকে যুক্ত হচ্ছে নতুন প্রকল্পে। জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে গবেষণা ও জরিপ চালাবে টানা পাঁচ বছর।

বর্তমানে গবেষণা জাহাজ আরভি মীনসন্ধানী ২০০৮-২০০৯ সালের ‘মেরিন ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’ নামের একটি প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানায় জরিপ চালাচ্ছে। এই প্রকল্পটিতে মালয়েশিয়া, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স (ওআইসি) এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন রয়েছে।

মালয়েশিয়া থেকে প্রায় ৬৫ কোটি টাকায় অত্যাধুনিক বহুমুখী সমুদ্র গবেষণা জাহাজ আরভি মীনসন্ধানী সংগ্রহের পর ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী জাহাজটি উদ্বোধন করেন। ২০১৬ সাল থেকেই মীনসন্ধানী সমুদ্রে জরিপ-গবেষণায় নামলেও প্রতিকূল আবহাওয়ায় এর গবেষণা কার্যক্রম আশানুরূপ হয়নি। তবে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে এবং চলতি বছরের বর্তমান সময় পর্যন্ত জাহাজটি ১৫টি অভিযান (কুইজ) এবং তিনটি টেকনিক্যাল ট্রায়াল সম্পাদন করতে সক্ষম হয়। জাহাজটি ২০১৭ সালে ডেমারসেল ফিশ বা সমুদ্র তলদেশের মাছের ওপর তিনটি, চিংড়ির ওপর তিনটি এবং পেলেজিক ফিশ বা সমুদ্র উপরিতলের মাছের ওপর দুইটি জরিপ-গবেষণা অভিযান (কুইজ) এবং দুইটি ট্যাকনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন করে। এতে ব্যাপক তথ্য-উপাত্ত সংগৃহীত হয়েছে।

সূত্র জানা যায়, আশা করা যায় আরো অনেক প্রজাতির আহরণযোগ্য মাছের সন্ধান আমাদের সমুদ্র সীমানায় মিলবে। ফলে সাগর থেকে মাছ আহরণের পরিমাণ আরো বাড়ানো যাবে। বর্তমানে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানা থেকে বাত্সরিক মাছ আহরণের পরিমাণ ছয় লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন।

বিডি২৪লাইভ/এএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: