মালয়েশিয়ায় শ্রমিকরা ‘আজ বৈধ, কাল অবৈধ’

প্রকাশিত: ০৭ মার্চ ২০১৯, ০৭:৪৭ পিএম

শিরোনামে হয়তো কিছুটা আঁচ করতে পেরেছেন। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। অভিবাসীদের গ্রেফতারে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে অভিবাসন বিভাগ।

বিগত দিনে আউটসোর্সিং কোম্পানির মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক বিদেশি শ্রমিকরা ভিসা করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কলকারখানায় কাজ করতেন। যা দেশটির শ্রমবাজারে কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত করা হয়। বিদেশি শ্রমিকদের বাসস্থান ও কিঞ্চিৎ মজুরিতে জিম্মি করে বছরের পর বছর কাজ করানো হয়েছে এমন অভিযোগও রয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরে।

আর এর ফলে বর্তমানে মালয়েশিয়ায় আউটসোর্সিং কোম্পানির অ্যাপ্রোভাল বন্ধ রয়েছে।

কিন্তু এখনো হাজার হাজার বিদেশিরা বিভিন্ন কোম্পানির নামে ভিসা করে অন্য কোম্পানিতে কাজ করছে। আর অন্যত্র কাজ করলেই তারা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।

যার ফলে বৈধ হয়েও জেলের গ্লানি টানছে বাংলাদেশিরা। কোম্পানি পরিবর্তনের অবৈধ হচ্ছেন তারা।

মালয়েশিয়াভিত্তিক একটি গবেষণা সংস্থা বলছে, ‘দেশটিতে অবৈধ শ্রমিকদের মধ্যে বাংলাদেশ এবং ইন্দোনেশিয়ার লোকদের সংখ্যাই বেশি।’

তবে বাংলাদেশ সরকার বলছে, মালেয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেশিরভাগই সম্প্রতি বৈধ হবার সুযোগ নিয়েছেন এবং বিষয়টিতে উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই।

মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কোনো শ্রমিককে তারা দেশটিতে কর্মরত চান না। আর তাই তারা এই অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

দেশটির অভিবাসন বিভাগের ঘোষণা অনুযায়ী- মালয়েশিয়ায় অবৈধ বিদেশিকে কোনোভাবেই অবস্থান করতে দেয়া হবে না। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘দেশটির সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তারা চলমান অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।’

মালয়েশিয়ায় দুই মাসে বাংলাদেশিসহ ৮ হাজার অবৈধ প্রবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। বিগত বছরগুলোতে শহরভিত্তিক অভিযান পরিচালিত হলেও নয়া কৌশলে এগোচ্ছে অভিবাসন বিভাগ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মাচের ৬ তারিখ পর্যন্ত, মালয়েশিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ২ হাজার ৯৯টি অভিযানে আটক করা হয় ৩০ হাজার ৯৭৮ জনকে। আটকদের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ৭ হাজার ৮৫ জন অবৈধ অভিবাসীকে।

এ ছাড়া অবৈধ অভিবাসী রাখার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪৪ জন মালিককে।

মালয়েশিয়ায় সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেফতার হচ্ছেন বৈধ বাংলাদেশিরাও। নামবিহীন দালালের মাধ্যমে বৈধ হয়ে অন্যত্র কাজের মধ্যেই গ্রেফতার হয়ে জেলে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশিদের। দেশটির আইন অনুযায়ী যে মালিকের নামে ভিসা করা হয়েছে, সেই মালিকের কাজ করতে হবে, অন্যথায় তাদেরকে অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: