ভোলায় আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০১৯, ০১:১৪ পিএম

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল হক দেওয়ান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোশারেফ হোসেন দুলাল সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় হামলা মারধর ও ব্যাপক সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৭টি নির্বাচনী অফিস ও ২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মোটরসাইকেল ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দুই পক্ষের ৯ জনকে আটক করেছে।

আটককৃতরা হলেন- মো: সবুজ, শিবলু, সেলমি, জসিম, জাহাঙ্গীর, আব্দুল মান্নান, নিরব, মো: আইয়ুব, সোলেমান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাতে উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নের কাটাখালী বাজারে নির্বাচনী প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর আনারস মার্কার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। থেমে থেমে রাতভর চলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ। আস্তে আস্তে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে ইউনিয়ন পরিষদ সামনের বাজার, মঙ্গল সিকদার ও চাচড়া বাজারে। এ সময় একে অপরের উপর দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে নৌকা ও আনারস মার্কার অন্তত ৪টি নির্বাচনী অফিস ও একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বেশ কয়েকটি মটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভোর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনকে আটক করেছে। বর্তমান এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এদিকে এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল হক দেওয়ান এবং বিদ্রোহী আনারস মার্কার প্রার্থী মোশারেফ হোসেন দুলাল একে অপরকে হামলা, ভাঙচুরের জন্য দায়ী করেন।

&dquote;&dquote;তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ফারুক আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিডি২৪লাইভকে বলেন, সংর্ঘষের ঘটনায় ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষ থেকে ১৬ জনের নামে ও অজ্ঞাত ১২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: