ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার ধ্বংস হচ্ছে অর্থকরী ফসল

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের কয়লার দিয়াড় নামক একটি গ্রামে গড়ে উঠেছে ৪টি ইটভাটা। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বেপরোয়া ভাবে পাল্লা দিয়ে অনায়াসে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ধ্বংসলীলা। 

অন্যদিকে, চরমভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকাবাসী। পাশেই রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট ৮টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থীসহ হাজারো জনসাধারণ রয়েছে চরম বিপাকে ও ঝুঁকিতে।

এছাড়াও ধ্বংস হচ্ছে জেলার একমাত্র অর্থকারী প্রধান সম্পদ আম ও বাগান। আর গিলে খাচ্ছে কৃষিপ্রধান দেশের সবুজের অরণ্য ফসল ও ফসলি জমি। ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে ধ্বংস হচ্ছে প্রকৃতি, পরিবেশ ও মানবসম্পদ।

একাধিকবার মানববন্ধন, বিক্ষোভ আন্দোলন করেও বন্ধ হয়নি অর্থনীতি ধ্বংসকারী এ ইটভাটাগুলো৷ বরং পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী সমাজসেবী মানুষগুলোর উপর ভাটা মালিকরা তাদের গুণ্ডা বাহিনী দিয়ে নির্বিচারে চালিয়েছে হামলা, করেছে একাধিক মিথ্যা বানোয়াট মামলা।

যার ফলে প্রতিবাদ করতে পারছে না এলাকার সচেতন মহল৷ নিরবেই সব অপরাধ সহ্য করে যাচ্ছে শিক্ষার্থী, সাধারণ জনগণসহ এলাকাবাসী।

আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে প্রভাব খাঁটিয়ে আজও সমানতালে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে ভাটাগুলো আর ধ্বংস করছে নানান ফসলসহ অর্থকারী সম্পদ আম।

গ্রামটির রাস্তা ঘেঁষেই রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ চোরাকারবারি, কালোবাজারি ও হুন্ডি ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট প্রধান জামায়াত নেতা আবু তালেব’র মালিকাধীন ২০০৮ সালের মেয়াদোত্তীর্ণ ‘সেভেন স্টার’ ইটভাটা।

তৌফিকুল ইসলাম এর ‘সাথী’ ইটভাটা এবং শ্রী জগন্নাথ প্রামানিক এর ‘সনি-বি-০১’ ও ‘সনিব-বি-২’। 

এদিকে প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বর্তমান সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে জনস্বার্থে ও পরিবেশ রক্ষার্থে জরুরি ভিক্তিতে ইটভাটাগুলো দ্রুত অপসারণ বা বন্ধ করার জোর দাবি জানিয়েছেন কৃষক-চাষী, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সচেতন মহলসহ এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ