ঘর নির্মাণ করতে সরকারি গাছ কর্তনের অভিযোগ

প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০১৯, ০৭:৩৮ পিএম

গ্রামাঞ্চলে একটা কথা প্রচলিত আছে, সরকারি জিনিস মালিক আমরাই (জনগণ)। কথা পুরোপুরি ঠিক। কিন্তু একটা কথা সবাই ভুলে যায়, সরকারি জিনিস সরকারের অনুমুতি ব্যতীত ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা গুরুতর অপরাধ। আর ঠিক এই কাজটাই হয়েছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙ্গালার কাটার মহল গ্রামে। বাড়িতে ঘর নির্মান করতে সরকারি রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। উল্লাপাড়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের। ঘর নির্মান কাজ বন্ধ করেছে পুলিশ।

সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, উপজেলার বাঙ্গাল কাটার মহল গ্রামে মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের ও শাহ আলমগং বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে বাড়িতে নতুন ঘর নির্মান করতে বাড়ির সিমানায় সরকারি রাস্তার ১০ হাজার টাকা মুল্যেও একটি আম গাছ কর্তনে করে। এবিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে একই গ্রামের মৃত তয়জাল হোসেনের ছেলে আবুল হোসেন সরকার।

উল্লাপাড়া মডেল থানায় অভিযোগকারী আবুল হোসেন জানান, আমার বাড়ির সামনে সরকারি রাস্তার একটি আম গাছ আব্দুল কাদের ও শাহ আলমগং কর্তন করতে গেলে আমিসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম লিটন ও গ্রামের লোকজন নিয়ে বাধা দিলে তারা আমাদের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে।

আব্দুল কাদেরের স্ত্রী কাজলী খাতুন জানান, আমাদের বাড়িতে নতুন ঘর তুলতে বাড়ির সিমানায় একটি আম গাছ ছিল সেটা আমরা কেটে নিয়েছি ঘর তোলার জন্য। আমারা গাছ লাগিয়েছি আমরাই কেটেছি।

বাঙ্গালা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সিরাজুল ইসলাম লিটন বলেন, স্থানীয় গ্রাম বাসির অভিযোগে সরকারী রাস্তার গাছ কর্তনের কথা শুনে আব্দুল কাদেরকে সরকারি গাছ কর্তন করতে নিষেধ করলে সে তা না শুনে গাছটি কর্তন করে। পরে বাঙ্গালা ইউনিয়ন ভুমি অফিসের নায়েব এসে কর্তন করা গাছটি আমার হেফাজতে দিয়ে যায়।

বাঙ্গালা ইউনিয়ন সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোজাম্মেল হোসেন জানান, সরকারী রাস্তার গাছ কর্তনে বিষয়টা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে কর্তনকৃত আম গাছটি স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে। এবিষয়ে পবর্তীতি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল কাদের জানান, একটি অভিযোগের ভিক্তিতে ঘটনাস্থানে গিয়ে শান্তি রক্ষার জন্য নির্মানাধীন ঘরের কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এবং দুই পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: