ভয়ঙ্কর হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা

প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০১৯, ০৩:০৭ পিএম

মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার মধ্য কামারগাঁও গ্রাম থেকে ২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মোটরসাইকেল নিয়ে বাসা থেকে বের হন মো. সোহাগ (২০)। বাসা থেকে বের হওয়ার কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও সে ফিরে না আসায় সোহাগের পিতা সন্দেহভাজন ০৯ জনের নাম উল্লেখ করে শ্রীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।

শ্রীনগর থানা পুলিশ দীর্ঘ ১ বৎসর ৮ মাস তদন্ত করে অপু, পারভেজ ও সিয়ামের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করে কিন্তু সোহাগের কোন সন্ধান না পাওয়ায় বিজ্ঞ আদালত স্ব-প্রণোদিত হয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন। পিবিআই মুন্সীগঞ্জ জেলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) মো. হযরত আলী মামলাটির তদন্ত শুরু করে ঘটনার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আসামী মোঃ সিয়াম (২৭) কে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতার করেন। আসামী সিয়ামের বর্ণনা ও দেখানো মতে পিবিআই টিম খুলনার উক্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডোবা থেকে অপহৃত ভিকটিম সোহাগের মাথার খুলি শরীরের বিভিন্ন অংশের কঙ্কাল উদ্ধার করে।

&dquote;&dquote;

গ্রেফতারকৃত আসামী জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সোহাগের সাথে তার পূর্ব থেকেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল এবং অপর আসামী পারভেজ (যার বাড়ি খুলনায়) এর বোনের শ্বশুর বাড়ি শ্রীনগর থানাধীন বালাশ্বর নতুন গ্রামে হওয়ায় সে তার বোনের বাড়ি থাকত। এ সময় সিয়াম ও সোহাগের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। সোহাগের একটি পালসার মোটর সাইকেল ছিল। সোহাগ তার মোটর সাইকেলটি বিক্রি করবে জানালে পারভেজ এর মাধ্যমে পারভেজের এক মামার নিকট ১,৪০,০০০/- মূল্যে মোটর সাইকেলটি বিক্রি করে। টাকা নিয়ে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে পারভেজ, সিয়াম ও সোহাগকে নিয়ে খুলনা রওনা দেয়। পরবর্তীতে পারভেজের বন্ধু নয়ন, মুরাদ, আবিদ তাদের সাথে যোগ দেয়। এরপর তারা একত্রিত হয়ে একটি চিংড়ি ঘেড়ে গিয়ে সোহাগের কাছ থেকে তার মোটর সাইকেল বিক্রির টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে নির্মমভাবে শ্বাসরোধ এবং ছুরি দিয়ে পেটে, বুকে ঘাই দিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর সোহাগের লাশ পার্শ্ববর্তী অব্যবহৃত ডোবায় কচুরিপানার নিচে পুঁতে রাখে।

সোহাগের মোটর সাইকেল বিক্রির টাকা আত্মসাতের জন্যই পরিকল্পিতভাবে উক্ত আসামীরা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ গুম করে। এ ব্যাপারে গ্রেফতারকৃত আসামী সিয়াম বিজ্ঞ আদালতে নিজেকে জড়িয়ে হত্যার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

বিডি২৪লাইভ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: