‘আন্দোলন যখন বিস্ফোরিত হবে সেদিন ভেসে যাবেন’

প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০১৯, ১০:৫৪ পিএম

আন্দোলন কখনও ব্যর্থ হয় না দাবি করে জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব সরকারের উদ্দেশে বলেন, আন্দোলন জমা থাকে, আন্দোলন কখনো হারিয়ে যায় না, সকল আন্দোলন যখন বিস্ফোরিত হবে সেদিন ভেসে যাবেন।

রবিবার (২৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমান এর ১২তম মৃত বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সময় আসছে সুযোগ আসবে সংগঠিত থাকুন অপেক্ষা করুন। শুধু রাজনৈতিক দলের আন্দোলনে স্বৈরাচারকে উৎখাত করা যায় না। সমাজের রাষ্ট্রের সকল জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির মাধ্যমে স্বৈরাচারকে উৎখাত করতে হয়।

জেএসডির সভাপতি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মনে করছেন এভাবে চির বন্দোবস্তর মাধ্যমে টিকে থাকবেন? এটা অসম্ভব। হিটলার নাই, মুসোলিনি নাই, ফেরাউন নাই, সাদ্দাম হোসেন নাই আপনারাও থাকবেন না। ২০ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমানকে সকল মামলা প্রত্যাহার করে জনগণ যেভাবে নিয়ে এসেছিলো খালেদা জিয়া সেই ভাবে কারাগার থেকে মুক্ত হবে।

রব বলেন, আগামী কালকে যে শিশুটির জন্ম গ্রহণ করবেন তার মাথায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ঋণ। এই হলো উন্নয়ন।

তিনি বলেন, ১৬ কোটি মানুষকে বিক্রি করে ক্ষমতায় থাকা বন্ধ করতে হবে।

ডাকসু প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, গত 8 বছরে ছাত্রদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়েছে।

ঐক্যবদ্ধ থেকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে এর কোন বিকল্প নেই মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নামে এত বড় ডাকাতি পুরো রাষ্ট্র মিলে করতে পারে? অতি শোকে মানুষ যেমন পাথর হয়ে যায়। এরপর থেকে আপনারা দেখছেন যত নির্বাচন হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচন কোন জায়গাতে মানুষ ভোট দিতে যায়নি।

ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচন কি কোন নির্বাচন হয়েছে। পুলিশ হয়তো সিল মারে নি, বিজিবি হয়তো সিল মারে নি। কিন্তু সিল মারা তো হয়েছে। চুরি করা ব্যালট বাক্স পাওয়া গেছে, সিল মারা ব্যালট বাক্স পাওয়া গেছে। তারপর সেই ডাকসুকে আবার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে, ডাকসু ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে এখন নতুন একটা স্তম্ভ বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মানুষ যেন কথা বলতে না পারে এরকম অবস্থা তৈরি করে রেখেছে এই জুলুমের সরকার। মানুষের মধ্যে এখন এক ধরনের হতাশা। আমাদেরকে জিজ্ঞেস করে ভাই দেশের অবস্থা কি হবে? পাঁচ বছর এটাই কি থাকবে?

টি এম গিয়াসউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, নিতাই রায়, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খাইরুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ প্রমুখ।

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: