‘অপেক্ষা করেন, দশ-বারো দিনের মধ্যে টের পাবেন’

প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৩০ পিএম

সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের পরিস্থিতি নাকি অনেক জটিল। আবার নেতাকর্মীরাও দেখলাম খুব উত্তেজিত। আল্লাহর রহমত, আমি ২০১১ এর শামীম নয়, থাকলে আমিও উত্তেজিত হইতাম। হওয়াটাই স্বাভাবিক। বয়সের সাথে সাথে সব কিছুর পরিবর্তন হয়।

আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে ইসদাইর বাংলা ভবনে কর্মী সম্মেলনে বক্তব্যকালে ওই কথা বলেন তিনি।

শামীম ওসমান বলেন, পর্দার আড়ালেও খেলা থাকে। হুট কইরা কাউরে ভুল বুইঝেন না। বাইরে থেইকা আইসা কেউ হয়তো এই খেলায় পা দিয়া ফেলছে। পর্দার আড়ালে অনেক খেলা হচ্ছে। আমি কারো নাম বলবো না। আমি এগুলারে গুণায় ধরি না। জামাতের সাথে তার কানেকশন ফাঁস হইলো। তদন্ত হইলো। এরপরই শুরু হইলো এই খেলা।

তিনি বলেন, বাইরের লোকরে দোষ দিয়া লাভ নাই। দোষতো আমার ঘরের মানুষের। যাকে আমি সন্ত্রাসের কারণে দুইবার আমি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনলাম। যে কিনা শ্রমিক আন্দোলনের নামে অসন্তোষ করে। তাকে এরেস্ট করার নির্দেশ ছিলো। আমি বললাম, কইরেন না। সরায়ে দেন। এখন সেও নাকি সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি করে, আমার হাসি লাগে।

সাংসদ শামীম ওসমান আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে আরেকজন আছে মহিলা। যার সাথে জামায়াতের সাথে জড়িত। সেই কথা প্রকাশ হয়েছে। সেই তিনি হুমকি দেন মামলা করবেন। তয় করেন না ক্যান? ও সাংবাদিক ভাইয়েরা তারে গিয়া বলেন না, মামলা করতে। দেখি না কতটুকু সৎ সাহস থাকে তাহলে যেন মামলা করে।

তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করে কাউকে ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জের শান্তিপূর্ণ অবস্থা নষ্ট করবেন, তা হবে না। এখানে যারা ব্যবসা করে তারা তো বিদেশী না। এখানকার স্থানীয়। আমাদেরই ভাইব্রাদার। এখন তাদেরকে কেউ ফোন করে বলবেন, দেখা করেন। আমি বলবো, দেখা করার সময় শেষ এটা হচ্ছে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।

শামীম ওসমান বলেন, শাহ নিজামের বিরুদ্ধে জিডি হইসে, টিটুর নামে মামলা হইসে, সজলের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন? কর্মীরা ভয়ে থরথর করে কাঁপছে, আমরা ভীত? না। যুবলীগ, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। কাউকে ভয় পায় না। কেউ যদি খেলতে চান, ডোন্ট প্লে, নারায়ণগঞ্জে খেইলেন না। সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করবে তাকে জুয়ার মামলার আসামী বানায়ে দিবেন। আমার আত্মীয় স্বজনকে মদের সাপ্লায়ার বানায়ে আমারে কাবু করতে চাইবেন, কইরেন না। আমারে কাবু করা যাবে না। অপেক্ষা করেন, আগামী দশ-বারো দিনের মধ্যে টের পাবেন।

তিনি বলেন, কেউ যতি মনে করেন, নারায়ণগঞ্জের এই কাউন্সিলকে ফাঁসাবো, ওর থেকে চাঁদাবাজি করবো। ওরে ফাঁসাবো। বাস থেকে চাঁদা খাবো। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করবো। ওটা কইরেন না। নারায়ণগঞ্জে এটা হবে না। সাংবাদিকেরা লিখবে, প্রশ্ন করবে আপনি তার কণ্ঠরোধ করবেন। কইরেন না। এটা প্রশাসনের কাজ না। এটা করলে সরকারের উপর দোষ পড়বে।

শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জের মাটিতে যদি কাউরে ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয় তাহলে একটা সেকেন্ডের জন্য কাউকে টিকতে দেওয়া হবে না। খোঁচা দিয়েন না। খোঁচা দিলে স্ফুলিঙ্গ জ্বইলা গেলে খোকন সাহাতো দূরের কথা আমি শামীম ওসমানও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আটকায়ে রাখতে পারবো না। তবে একটা অনুরোধ করবো, বাইরের মানুষরে দোষ দিয়েন না। তারা না বুইঝা করছে। ঘরের মানুষদের দোষ দেন। মোশতাকদের দোষ দেন।

অনুসারিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনেরা টেনশনমুক্ত থাকেন। নিজ নিজ এলাকায় থাকেন। এরপরও যদি আমার কোনো নেতাকর্মীদের অযথা হয়রানি করা হয় তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কোনো টেনশনের দরকার নাই। এরপরও যদি কেউ খেলতে চায় তাহলে খেলা হবে। আগ্নি দেখেছেন অগ্নির স্ফুলিঙ্গ কিন্তু দেখেন নাই। এরপরও যদি খেলা হয় তাহলে ২৪ ঘণ্টা না ৬ ঘণ্টার নোটিশ দেব। তবে, চিন্তা কইরেন না। খেলাখেলির দরকার নাই। খেলার আগেই খেলা শেষ হবে ইনশাল্লাহ।

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: