চুয়াডাঙ্গার সেই কিশোরীর সন্তানের ভরণ-পোষণ রাষ্ট্রের

প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:৫১ পিএম

চুয়াডাঙ্গায় কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগে হাসেম আলী (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক জিয়া হায়দার এ রায় প্রদান করেন।

দন্ডপ্রাপ্ত হাসেম আলী দামুড়হুদা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের বকুল মন্ডলের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর দামুড়হুদা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের দরিদ্র এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে একই গ্রামের বকুল মন্ডলের ছেলে হাসেম আলী। এ ঘটনায় ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে ওই কিশোরী বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ১২ আগষ্ট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দামুড়হুদা থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

দামুড়হুদা থানার তৎকালিন উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন আলোচিত এ মামলাটির তদন্ত করেন। তদন্তকালে তিনি বাদী ও তার শিশু কন্যার ডিএনএ টেস্ট পরীক্ষা করে ২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারী একমাত্র আসামী হাসেম আলীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

বিজ্ঞ আদালত এ মামলায় ৩ জনের স্বাক্ষ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে আসামী হাসেম আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন। একই রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে ওই কিশোরীর শিশু কন্যার যতদিন বিয়ে না হবে ততদিন তার ভরণপোষনের দায়িত্ব গ্রহন করবেন রাষ্ট্র।

আলোচিত এ মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন, এপিপি এ্যাড. আব্দুল মালেক ও আসামী পক্ষে ছিলেন এ্যাড. সেলিম উদ্দীন খাঁন।

বিডি২৪লাইভ/এএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: