সেই ৭ নম্বর খুঁটির পাইল বসছে আজ

প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:৪৩ এএম

পদ্মা সেতুর জতিলতার সেই ৬ ও ৭ নম্বর পিয়ারে শেষ পাইল বসানোর কাজ শেষ হতে চলেছে আজ। নির্মাণকাজের উদ্বোধন হয় হ্যামারের সাহায্যে ৭ নম্বর খুঁটির (পিয়ার) পাইল বসানোর মধ্য দিয়ে। কিন্তু পরে এই পাইল বসাতে গিয়ে নদীর তলদেশে দেখা মেলে নরম মাটির স্তরের। ফলে একে একে ধরা পড়ে ১১টি খুঁটিতে একই ধরনের বিপত্তি। এর মধ্যে সেতুর ৬ ও ৭ নম্বর খুঁটির পাইল বসাতে গিয়ে সবচেয়ে বড় জটিলতা দেখা দেয়। এতে দেখা দেয় নানা জটিলতা।

মঙ্গলবার (৯ এপিল) অবশেষে জটিলতা দেখা দেওয়া সেই ৬ ও ৭ নম্বর পিয়ারে পাইল বসানোর কাজ আজ মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে। তবে এর আগে এই দু’খুঁটির জন্য সবচেয়ে বড় জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারদের।

এদিকে প্রকৌশলীরা বলেন, ১১টি পিয়ারের (খুঁটি) পাইল নদীর যেখানে ড্রাইভিংয়ের কথা ছিল, তার তলদেশ নরম মাটির স্তরের কারণে পরিকল্পনা বদলে ফেলতে হয়েছে। বর্তমানে নয়টি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ১৩৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ১৩ ও ১৪ নম্বর পিয়ারের ওপর আগামীকাল বুধবার একটি স্প্যান বসানো হবে। ২০ এপ্রিল জাজিরায় ৩৪ ও ৩৩ নম্বরে আরও একটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

তারা আরও বলেন, আমাদের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজটি শেষ করে ফেলেছি। এরপর কংক্রিটের ঢালাই দেওয়া হবে। এরই মধ্যে পিয়ার-৭-এর পাইল ড্রাইভিং শেষ হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে গভীর মাঝনদীতে কাল পিয়ার-৬-এর পাইল ড্রাইভিংয়ের কাজ শেষ হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নদীর তলদেশে কাদামাটির পরই শক্ত মাটি না পাওয়ায় সেতুর ১১টি খুঁটির মধ্যে ছয়টি পাইলের সঙ্গে আরও একটি পাইল বাড়ানো হয়। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি এসব খুঁটির নতুন নকশার অনুমোদন দেয় পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ দল। নতুন নকশা পেয়েই জোরেশোরে শুরু হয়ে যায় ১১টি খুঁটির পাইল বসানোর কাজ। নতুন নকশা অনুযায়ী পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতুতে ২৯৪টি পাইল রাখা হয়েছে।

ইতোমধ্যে ২৪৭টি পাইল বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৪৭টির মধ্যে ১৫টি পাইলের অর্ধেক বসানো হয়ে গেছে। ২৯৪টি পাইলে থাকবে ৪২টি খুঁটি। এসব খুঁটির ওপরে ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। ৪২টি খুঁটির মধ্যে ২২টির নির্মাণ পুরোপুরি হয়ে গেছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে ১০টি খুঁটির নির্মাণকাজ শেষ হয়ে যাবে।

বিডি২৪লাইভ/এসএএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: