এনআইডি কি আলাদা অধিদপ্তর হচ্ছে?

প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০১৯, ১১:৫৯ এএম

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগকে আলাদা অধিদপ্তর করার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এনআইডিকে আলাদা অধিদফতর করার প্রস্তাবনাটি আপাততবাস্তবায়ন হচ্ছে না। তবে বর্তমান কমিশন বিদায়ের আগে এটি অনুমোদন দিতে পারে বলে সংশ্লিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, বর্তমান কমিশনের আরও আড়াই বছর মেয়াদ রয়েছে। একারণে এখনই এনআইডি হাতছাড়া করতে চায় না তারা। তাছাড়া আইনি বিষয় এবং প্রস্তুতির একটি বিষয় রয়েছে। একারণে কমিশনের ৪৭ তম সভায় এটা অনুমোদন দেওয়া হয়নি। কিন্তু বর্তমান কমিশন বিদায়ের আগে এটি অনুমোদন দিতে পারে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, এর আগেও কোন প্রস্তাব প্রথমে কমিশনে উঠে নাকচ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরবর্তিতে এটি আবার পাশ হয়েছে। এনআইডি আলাদা অধিদপ্তর প্রস্তাবটির ক্ষেত্রেও এমন হতে পারে। তাছাড়া যাওয়ার সময় এটি অনুমোদন দিলে নতুন কমিশনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইসি থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এনআইডি’র জন্য ২৭৭টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব পাঠানো হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বিশাল কর্মযজ্ঞ সফলভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের একটি উইং হিসেবে এনআইডি অনুবিভাগের প্রস্তাবিত জনবল কাঠামো দ্রুত অনুমোদন প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে অনুবিভাগের প্রস্তাবিত জনবল প্রদান করা সম্ভব না হলে প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের অধীন একটি অধিদপ্তর হিসেবে প্রস্তাবিত জনবল জরুরি অনুমোদন প্রদানের অনুরোধ করা যাচ্ছে।’

ইসি’র ওই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চিঠিতে এনআইডি-কে আলাদা অধিদফতর করা যায় কিনা, সে বিষয়ে মতামত জানতে চায়।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার কমিশনের ৪৭তম সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেখানে এনআইডি-কে আলাদা অধিদফতর করতে আইনগতসহ নানা ঝামেলার বিষয়টি উঠে আসে। এছাড়াও অনেক আইন পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে, যেটা এই মুহূর্তে করা সম্ভব নয়। তবে বৈঠকে কমিশনাররা এনআইডি-কে আলাদা অধিদপ্তর করার চেয়ে লোকবল বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘কমিশনের জনবল সংকট রয়েছে। তাই আমরা আপাতত সেটি সমাধান করতে চাই। এরপর পৃথক অধিদপ্তর করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।’

বিডি২৪লাইভ/আরএইচ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: