তরুণদের ঝুঁকিপূর্ণ বিনোদন

প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:০৪ পিএম

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ও বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে বাঙালি জাতি নানা রকম আয়োজন করে থাকেন। এ আয়োজনে নববর্ষকে কেন্দ্র করে থেমে থাকেনি এক শ্রেণির উঠতি বয়সের কিশোর-তরুণরা। বৈশাখের সাজে আনন্দ উৎসবে মেতে থাকতে মিনি ট্রাক ও পিকআপকে বিকল্প বিনোদন হিসেবে বেছে নিয়েছে তারা। যা পুরোপুরিই যেকোনো অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। কেননা, মিনি ট্রাক-কিংবা পিকআপে দলবদ্ধ হয়ে পরিবহনে চড়ে উচ্চ শব্দে সাউন্ডবক্স বাঁজিয়ে বেপরোয়া গতিতে নাচে গানে সড়ক দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে আনন্দ উপভোগ করে ঘুরে বেড়ায়।

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কসহ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার বিভিন্ন প্রধান প্রধান সড়কে তাদের এমন ঝুঁকিপূর্ণ বিনোদনের চিত্র দেখা গেছে। এ ঝুঁকিপূর্ণ বিনোদনের চিত্র শুধু পহেলা বৈশাখেই সীমাবৃদ্ধ নয়। ঈদ, পূজাসহ অন্যান্য বিশেষ দিনেও এ ধরণের মারাত্বক বিনোদন চোখে পড়ে। এতে যেকোন মুহূর্তে ঘটতে পারে মারাত্বক দুর্ঘটনা। যা তাদের ও পথচারীদের জন্যও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

এ ঝুঁকিপূর্ণ বিনোদনের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। ঝুঁকিপুর্ণ বিনোদনের করতে গিয়ে অতীতেও সড়ক দুর্ঘনার শিকার হয়েছে অনেকেই।

সমাজের দায়িত্বরত সুশীলরা বলছে, এ ধরণের বিনোদন কিশোর-তরুণসহ কোনো বয়সের লোকদের জন্য নিরাপদ নয়। তাই এ ধরণের বিনোদনের থেকে ছেলের বাধা-নিষেধ করা সকল অভিভাবকদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। তবে প্রশাসনের এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি না থাকায় মিনি ট্রাক-পিকআপকে ঝুঁকিপূর্ণ বিনোদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এদিকে পুলিশ বলছে, পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে সকল ধরণের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ বিনোদনে উঠতি বয়সের কিশোর-তরুণরা উচ্চ শব্দ গান বাঁজিয়ে সড়কে নাচে আনন্দেই করে থাকেন তা নয়। সড়কে চলাচলরত মহিলা, স্কুল-কলেজের ছাত্রী ও মেয়েদের নানা সময়ে ইভটিজিং ও কটুক্তিমূলক ভাষা ব্যবহার করে থাকেন। পাশাপাশি উচ্চ শব্দে সাইন্ডবক্সের শব্দে পথচারীরা বিরক্তকর অবস্থা পড়েন।

এসব পরিবহনের ঝুঁকিপূর্ণ বিনোদনে যেকোনো সময় ঘটতে পারে অপ্রিতিকর দুর্ঘটনা। তাই ঝুঁকিপূর্ণ এ ধরণের বিনোদন বন্ধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রাখার জোর দাবি জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল।

ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো: রাশিদুল ইসলাম বলেন- ঝুঁকিপূর্ণ বিনোদন বন্ধে সকল অভিভাবকদের নজরদারি বাড়াতে হবে। যাতে করে কিশোর-তরুণরা মিনি ট্রাক-পিকআপে ঝুঁকিপূর্ণ বিনোদন না করে। পরিবহন মালিক শ্রমিকদেরও ভাড়ায় না যাওয়ারও আহবান করেন (ওসি) রাশিদুল ইসলাম।

ইভটিজিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি কেউ ইভটিজিং করে এবং সেই ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করলে তা তাৎক্ষণিক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: