চেয়ারম্যানের গুলিতে কৃষক নিহত

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৫২ পিএম

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে যোগানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের গুলিতে প্রকাশ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে ইদ্রিস আলী (২৫) নামে এক কৃষক।

সদ্য সমাপ্ত হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী দ্বন্দ্বের রেশ ধরে ধান কাটা নিয়ে বিরোধ করে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার যোগানিয়া কুত্তামারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছেন।

আটককৃতরা হলেন- ইউপি চেয়ারম্যানের বড় ভাই মাসুম মিয়া (৪০), বড় বোন ময়না বেগম (৬০), ভাগিনা হারেজ আলী (৩০), রাহুল মিয়া (২৮) ও ভাতিজা উসমান আলী (৩২)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে দশজন ধানকাটা শ্রমিকসহ সোহরাব আলী ইউপি চেয়ারম্যান এর ভাতিঝি জামাই মাজব আলীর বাড়ির নিকটে থাকা আড়াই একর জমির ধান কাটতে যায়। এসময় উপজেলা নির্বাচন সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে মাজব আলী তার লোকজনসহ সোহরাব আলীর উপর হামলা করে ও ধান কাটতে বাধা দেয়। বাধা পেয়ে সোহরাব আলী শ্রমিকদের নিয়ে বাড়ি চলে আসে এবং আশপাশের স্বজনদের খবর দেয়। পরে সকলে মিলে পুনরায় ধান কাটতে গেলে সংবাদ পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান দেশীয় অস্ত্র ও লোকজন সাথে নিয়ে সোহরাব আলীদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে সোহরাব আলী ও তার ভাইদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অস্ত্রশস্ত্র সহ হুমকি দিতে থাকে ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান। এ সময় উভয়পক্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হলে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান তার সাথে থাকা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গুলি করে। এতে সোহরাব আলীর চাচাতো ভাই ইদ্রিস আলী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

পরে স্বজনেরা ইদ্রিস আলীকে উদ্ধার করে দ্রুত নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর জেলা মর্গে প্রেরণ করেছেন।

এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: