মার্কিন. ব্যাপসঙ্গীত শিল্পী নিকি মিনাজ সৌদি আরবে তার প্রতিশ্রুত কনসার্টটি করছেন না। সৌদি আরবে নারী ও সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
জেদ্দায় তার কনসার্টে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত প্রকাশের পর ওই কনসার্টকে নিয়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়েছিল। এ ছাড়া চরম রক্ষণশীল সৌদি সমাজে নিকি মিনাজের পোশাক ও গানের ভাষা কিভাবে নেয় - তা নিয়েও প্রশ্ন ছিল।
সৌদি আরব সাম্প্রতিক সময়ে বিনোদনমূলক নানা বিষয়ের ওপর বাধা-নিষেধ সহজ করে আনার চেষ্টা করছে।
গত অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সাংবাদিক জামাল খাসোগজী হত্যাকাণ্ডের পর সৌদি আরবে মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে সমালোচনা আরও জোরদার হয়।
মঙ্গলবার নিকি মিনাজ জানান, আগামী ১৮ জুলাই জেদ্দায় হতে যাওয়া সাংস্কৃতিক উৎসবে যোগ দেবার কথা ছিল তার। উৎসবে তার যোগ দেবার খবর প্রচারিত হবার পর থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন নিকি।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি বলেন, সবকিছু বিবেচনা করে জেদ্দা ওয়ার্ল্ড ফেস্ট-এ কনসার্টটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি।
খুব চাইছিলাম সৌদি আরবে আমার ফ্যানদের সামনে শো করি৷ কিন্তু সেখানকার পরিস্থিতি ভালোভাবে জানার পর দেশটির নারী ও সমকামীদের অধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার দাবির পক্ষে সমর্থন জানানো বেশি জরুরি মনে হয়েছে, বিবৃতিতে জানান নিকি।
নিকি না গেলেও উৎসবে অংশ নেবেন ব্রিটিশ সঙ্গীতশিল্পী লিয়াম পেইন ও মার্কিন ডিজে স্টিম আওকি।
মূলত অর্থনৈতিক কারণে সামাজিক বিনোদনের ওপর কয়েক দশকের কড়াকড়ি থেকে সম্প্রতি বের হয়ে আসতে চাচ্ছে অতিরক্ষণশীল দেশ সৌদি আরব। সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বেশ কিছু দিন ধরে কট্টর রক্ষণপন্থা থেকে সৌদি আরবকে একটি উদারপন্থি রূপ দেয়ার চেষ্টা করছেন।
মেয়েরা গাড়ি চালানোর অনুমতি পেয়েছেন। বিভিন্ন খেলার অনুষ্ঠানেও মেয়েরা যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। নিকি মিনাজের জেদ্দায় আমন্ত্রণকে অনেকে এর অংশ হিসেবেই দেখছেন।
তবে নিকির সিদ্ধান্তে দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার সৌদি ফ্যানেরা। তারা টুইটারে এই সিদ্ধান্তের জন্য সমালোচনা করেছেন মার্কিন শিল্পীর।
পাঠকের মন্তব্য: