আপন হয়নি ঢাকা, বাড়ি ফেরাই ভরসা

প্রকাশিত: ০১ জুলাই ২০২০, ০২:৫০ পিএম
অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের হাত ধরে মানবিক বিপর্যয় নিয়ে এসেছে করোনাভাইরাস। কাজ হারানোর পর, এখন বাসস্থানও হারানো শুরু করেছে মানুষ। অনিশ্চিত জীবন নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে বহুজন। ভাড়ার আয় বন্ধ হওয়ায় বিপাকে আছেন অনেক বাড়িওয়ালা। তবে এই বিপদ শুধু ভাড়াটিয়া আর বাড়ির মালিকেরই নয়, বরং গোটা অর্থনীতির। বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, শহর ছাড়ার পথ ধরে দীর্ঘস্থায়ী হবে বেকার সমস্যা। সদ্য বাসস্থান হারানো অনেকেরই এই শহর নিজের হয়নি বহুবছরেও। জন্মস্থান অন্তত ফেরাবে না, সেই আশায়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেকেই ফিরছেন গ্রামেরবাড়ি। ঢাকার আবাসিক এলাকার দেয়ালে এখন গা ভর্তি টু লেট বিজ্ঞপ্তি। বাড়ছে প্রতিদিনই। পুরোনো বাসিন্দা হারিয়ে বাড়িগুলোও নতুন ভাড়াটিয়ার অপেক্ষায়। রামপুরা মহানগর প্রকল্পের একটি বাসাও পাওয়া গেলো না যেখানে টুলেট ঝুলছে না। বাড়িছাড়ার দিন গুনছেন নতুন অনেকেই। অবশ্য কোন কোন বাড়িওয়ালার দাবি, ভাড়া কমিয়েও লাভ হচ্ছে না। নিরুপায় হয়েই নতুন ভাড়াটিয়া খুঁজছেন তারা। এদিকে, যারা ঢাকা ছেড়েছেন, তাদের অনেকেই এখনও নিশ্চিত জীবনের খোঁজ পাননি। কাজ হারানো, ঘর হারানো মানুষগুলোর আগামী জীবনে শিগগিরই স্বাচ্ছন্দ্য আসছেনা এমনটাই মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। মানুষের জীবনমানের এই বিপর্যয়ের পেছনে সরকারের প্রণোদনা কৌশলের দায়ও দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। বিশ্বব্যাংক-ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, যারা এখন কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা তাদের কর্মসংস্থান ফিরে পাবেন কিনা সেটা অনিশ্চিত। যারা ই-কমার্স ব্যবহার করতো না তারাও এখন সেটা ব্যবহার করতে শিখেছে। কিন্তু সেই মুদির দোকানদার তো এর ব্যবহার জানেন না। ভাড়াটিয়া পরিষদ বলছে, কাজ হারিয়ে ঢাকা ছেড়েছে ৫০ হাজার মানুষ। তাদের প্রত্যেকের প্রত্যক্ষ অবদানে ভর করেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্বপ্ন দেখছিলো বাংলাদেশ। সূত্র: ডিবিসি নিউজ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: