স্বাস্থ্যবিধি তাদের কাছে ‘রুপকথার গল্প’

প্রকাশিত: ০৯ জুলাই ২০২০, ০৪:০৮ পিএম
রাজধানীর বস্তিগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার মতো ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা নেই। করোনা টেস্ট না করায় শনাক্তও করা যাচ্ছে না করোনা রোগী। ফলে শরীরে ভাইরাসের আশঙ্কা নিয়ে শহরজুড়েই কাজে বের হচ্ছেন বস্তিবাসী। তাই বেড়ে যাচ্ছে সংক্রমণের শঙ্কা। জীবন মানে এখানে শুধুই বেঁচে থাকা। জীবন কেড়ে নেয়া যেই ভাইরাস চারপাশে, জীবিকাতেও তার হানা প্রকট এখন। প্রতিনিয়ত তাই মৃত্যুকে চ্যালেঞ্জ করে বসবাস রাজধানীর সাড়ে সাত লক্ষাধিক বস্তিবাসীর। রুমা বেগম। স্বামী, সন্তান, শ্বাশুড়ি, বোনসহ ৭ জনের পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর পল্লবীর একটি বস্তিতে। একটি মাত্র ঘরে গাদাগাদি করে থাকতে হয়। স্বাস্থ্যবিধি তার কাছে রুপকথার গল্প মাত্র। এই শহরের প্রায় সাড়ে তিন হাজার ছোট বড় বস্তির প্রতিটি ঘরের গল্প প্রায় একই রকম। জীবিকার আকুতি যেখানে প্রতিদিন, সেখানে করোনা পরীক্ষার গুরুত্ব তাদের কাছে অনেকটা অনর্থক, অপ্রয়োজনীয়। টেস্ট না হওয়ায় করোনা রোগীও শনাক্ত হয় না বস্তিগুলোতে। ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। সমাজের একটি অংশকে বাদ দিয়ে করোনা সংক্রমন রোধ কতটুকু সম্ভব? এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, ‘তারা যখন কাজের জন্য বের হচ্ছেন, তখন আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে তাদের আমরা আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণে রাখছি।’ রাজধানীর বস্তিগুলোতে একটি ঘরে গড়ে ৩ থেকে ৮ জন বাস করেন। প্রায় ৩০ জনের জন্য একটিমাত্র রান্নাঘর আর দুইটি বাথরুম- রয়েছে এমন চিত্রও। প্রশ্ন থেকে যায়, তাদের মধ্যে এই সচেতনতা তৈরি করতে কতটুকু সক্ষম হয়েছেন দায়িত্বশীলরা?-ডিবিসি নিউজ।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: