কনকনে শীতের মধ্যে ৫ দিন ধরে প্রেমিকের বাড়ির বারান্দায় অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকা!

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২০, ১২:৫০ এএম
মনিরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার থেকে: দীর্ঘদিন প্রেম করার পর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন প্রেমিকা। বিয়ের দাবি জানিয়ে ঘরে তুলে নিতে গত ৫ দিন ধরে প্রেমিকের বাড়ির বারান্দায় অবস্থান নিলে প্রেমিক বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসন আলোচনার পরও কোন সমাধান করতে পারছেন না। প্রেমিকাও অনড় অবস্থানে থেকে এখন প্রেমিকের বসত ঘরের বারন্দায় অবস্থান নিয়ে বসে আছেন। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর চা বাগানের আদমটিলা শ্রমিক বস্তিতে সোমবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে ঘটনাটি ঘটে। প্রেমিকা কমলগঞ্জের শমশেরনগর চা বাগানের রবিদাস শ্রমিক বস্তির জ্যোতি রবিদাস (১৯) ও প্রেমিক আদমটিলা শ্রমিক বস্তির সন্তোষ যাদব (২২)। স্থানীয়ভাবে জানা যায়, জ্যোতি রবিদাসের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আদমটিলা শ্রমিক বস্তির সন্তোষ যাদবের। সন্তোষ যাদব প্রেমিকা জ্যাতিকে বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করলে ও অন্যত্র বিয়ের উদ্যোগ নিচ্ছে জেনে প্রেমিকা সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় এসে প্রেমিক সন্তোষের বাড়ির প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয়। বিষয়টি টের পেয়ে আগেই প্রেমিক সন্তোষ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। সোমবার রাত থেকে কনকনে শীতের মাঝে প্রেমিকা জ্যোতি প্রেমিকের বসত ঘরের বারান্দায় অবস্থা নিয়ে এখনও সে অবস্থানে রয়েছে। সন্তোষ যাদবের মা বাসন্তী আহির বলেন, হঠাৎ করে সোমবার সন্ধ্যায় এ মেয়েটি তার বসতঘর প্রাঙ্গণে বসে পড়ে। সে দাবি করে ছেলে সন্তোষ দীর্ঘদিন ধরে তারা সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এখন তাকে বিয়ে করে ঘরে তুলতে হবে। বাসন্তী আহির আরও বলেন, ছেলে সন্তোষ সোমবার সন্ধ্যা থেকে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। প্রেমিকা জ্যোতি রবিদাস বলেন, গত কয়েক বছর ধরে সন্তোষ যাদবের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এখন আমি ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সন্তোষ ও তার পরিবারের লোকজন বিয়ের বিষয় শেষ করে তাকে ঘরে তুলে নিতে হবে। এটার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সে এ বাড়িতে অবস্থান করে থাকবে। সে আরও জানায়, শমশেরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটি ও পুলিশ কর্মকর্তারা ছেলের পরিবারের সাথে কথা বলে তাকে বাড়িতে ফেরাতে চেয়েছিলেন। তবে গত ৫ দিনেও সে বাড়ি ফিরে আসেনি। শমশেরনগর চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত গোয়ালা বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য ছেলেকে বাড়িতে ফেরাতে তার পরিবার সদস্যদের ওপর চাপ সৃষ্টি করলেও শনিবার দুপুর পর্যন্ত ছেলেটি ফিরে আসেনি। তাই এ বিষয়ে কোন সমাধান করা যায়নি। শমশেরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ বলেন, এই বিষয়টা খুবই দুঃখজনক। আমি গত ৫ দিন ধরে সমজতা করার চেষ্টা করছি, কিন্তু অভিযুক্ত ছেলের অনুপস্থিতিতে এ বিষয়ের সমাধান করা যাচ্ছে না এবং ছেলের পরিবারও মানছে না। শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রেমিকা জ্যোতি রবিদাস লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: