বর্ডারে সমস্যা ও সম্ভাবনা খুঁজতে পঞ্চগড়ে সরেজমিনে হাইকমিশনার

প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৫:২৪ এএম
পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া উপজেলায় সরেজমিনে বর্ডারে সমস্যা ও সম্ভাবনা খুঁজতে পরিদর্শন করেছেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। ভারত-বাংলাদেশের যেসব সীমান্ত এলাকা দিয়ে মানুষের যাতায়াত ও ব্যবসা বাণিজ্য চলমান রয়েছে সেসব পয়েন্টগুলোতে উভয় পাশে কি ধরণের সমস্যা রয়েছে সে জন্যই সরেজমিনে পরিদর্শন করছেন তিনি। সোমবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পরিদর্শন করে তেঁতুলিয়া বেরং কমপ্লেক্সে বন্দর সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি। এ সময় হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা উভয় দেশের এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে চাই। এছাড়া দুদেশের যেসব সীমান্ত এলাকা দিয়ে যাতায়াত ও ব্যবসা বাণিজ্য চলমান রয়েছে সেখানে কি কি সমস্যা সম্ভাবনা রয়েছে তা সরেজমিনে দেখার জন্যই আমি এসেছি। এসব সমস্যা সম্ভাবনার কথা জানা থাকলে যে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সুবিধে হয়। তিনি বলেন, স্থলবন্দরগুলোতে সব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে এক ছাদের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। যেন সেবা গ্রহিতাকে হয়রানির শিকার হতে না হয়। পণ্য ও মানুষ যাতায়াতের পথ আলাদা করতে হবে। মতবিনময় অনুষ্ঠানে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল মান্নান, ১৮ বিজিবির অধিনায়ক লে কর্নেল খন্দকার আনিসুর রহমান, তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা ও আমদানি রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলাসহ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভা শেষে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন মুজিব বর্ষ উপলক্ষে দুই বাংলার লেখকদের নিয়ে যৌথ কবিতা সংকলনের বই হাইকমিশনারের হাতে তুলে দেন। এর আগে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান তেঁতুলিয়া পৌছালে পুলিশের একটি সুসজ্জিত দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। ভারতীয় অংশে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে বাংলাবান্ধাসহ আরও একটি স্থলবন্দর থেকে অভিযোগের বিষয়ে হাইকমিশনার বলেন আমরা ভারতের সাথে আলোচনা করবো।বাংলাদেশের চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ি রুটে রেলযোগাযোগ আগামী মাসেই শুরু হচ্ছে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরকে নিয়ে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা হাইকমিশনারের কাছে চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধার গুরুত্ব তুলে ধরে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: