এপ্রিলের পর শনাক্তের হার সর্বনিম্ন

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২১, ০৪:২৭ এএম
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস (কভিড-১৯)। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মারা গেলেন সাত হাজার ৯০৬ জন। এ সময় নতুন করে ৫৬৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ লাখ ২৭ হাজার ৬৩২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪.২৩ শতাংশ। গত বছরের ৫ এপ্রিলের পর এটাই সর্বনিম্ন শনাক্তের হার। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। রবিবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনা বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৯টি পরীক্ষাগারে ১৩ হাজার ৫৫৩টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৩ হাজার ৪৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ফলে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫৩টি। মৃত ২৩ জনের মধ্যে পুরুষ ১৬ এবং নারী ৭ জন। হাসপাতালে সবাই মারা যান। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো ৬৮১ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো চার লাখ ৭২ হাজার ৪৩৭ জনে। করোনায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৩ জনের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৬ এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৬ জন রয়েছেন। গত বছর ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছিল তিন মাস পর গত ১৮ জুন। তার ঠিক এক মাস পর ১৮ জুলাই শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এর পরের ১ লাখ রোগী শনাক্তে ৯ দিন বেশি সময় লাগে। ২৬ অগাস্ট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়ানোর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর পরের দুই মাসে ২৬ অক্টোবর সেই তালিকায় যোগ হয় আরো এক লাখ শনাক্ত। এর ৫৫ দিনের শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ লাখ ৭১৩ জন। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ। ৩০০ দিনের মাস ভিত্তিক শনাক্তের হারে দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি ২২ দশমিক ৬৩ ভাগের করোনা শনাক্ত হয় জুলাই মাসে। আর গত বছরের ৫ এপ্রিলের পর আজ রোববার শনাক্তের হার নামল সর্বনিম্ন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: