গৃহবধূর ক্ষতবিক্ষত বিবস্ত্র মৃতদেহ উদ্ধার, পাওয়া গেছে নিখোঁজ স্বামীকে

প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৮:৩৩ পিএম
রাজবাড়ী জেলার কালুখালীতে নাজমা বেগম (৪২) ওরফে মঞ্জু হত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিকে হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে কালুখালী থানা প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কালুখালীর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারী সকাল ৮ টায় সংবাদ পাই কালুখালী থানাধীন মাজবাড়ী ইউনিয়নের রাইপুর কাসমিয়ার বিলের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞাত মহিলার মৃত দেহ পড়ে আছে। সংবাদে পেয়ে রাজবাড়ী পুলিশ সুপার এসএম শাকিলুজ্জামান এর নির্দেশক্রমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শেখ শরিফ-উজ-জামান, সহকারী পুলিশ সুপার (প্রবি) আরিফ মুহাম্মদ শাকুর এবং কালুখালী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল থেকে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি। নিহত নাজমা বেগম ওরফে মঞ্জু এর ভাই ইমান আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে এজাহার দাখিল করেন। এফআইআর নং-১৫/৩৩, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ধারা ৩০২-৩৪, পেনাল কোড-১৮৬০। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিক নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই জাহিদুল ইসলাম মামলার রহস্য উদঘাটন করে মৃত নাজমা বেগমের এর ২য় স্বামী (তালাকপ্রাপ্ত) হত্যাকা-ের প্রধান আসামি কালুখালী থানাধীন পচাকুলটিয়া গ্রামের মোঃ আজিজ মোল্লার ছেলে মোঃ মকিম মোল্লা (৪৫) কে প্রযুক্তির মাধ্যমে গাজীপুর জেলার বসন থানাধীন নাওজর এলাকা হতে গ্রেফতার করে কালুখালী থানায় নিয়ে আসে। গ্রেপ্তার পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায়, পারিবারিক ক্ষোভের বশবত হয়ে ধারালো ছুড়ি দ্বারা কোপাইয়া নির্মম ভাবে হত্যাকা-টি ঘটায়। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ী আদালতে প্রেরণ করলে আসামি আদালতে স্বেচ্ছায় হত্যা কা-ের বিষয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। গৃহবধূর ক্ষতবিক্ষত বিবস্ত্র মৃতদেহ উদ্ধার, স্বামী নিখোঁজ চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের কোমরপাড়া মাঠের আঁখ ক্ষেত থেকে তারজিনা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূর ক্ষতবিক্ষত বিবস্ত্র মৃতদেহ উদ্ধার করেছে জীবননগর থানা পুলিশ। বুধবার রাত ৮ টার দিকে পুলিশ ওই মাঠ থেকে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। মৃতদেহ উদ্ধারের সময় গৃহবধূর মাথা ও গলাসহ শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তারজিনা খাতুন জীবননগর উপজেলার শিংনগর গ্রামের মেহের পাড়ার আব্দুস সালামের স্ত্রী। এর আগে সোমবার বিকেলে স্বামী আব্দুস সালাম এবং তারজিনা খাতুন শিংনগর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। এখনো পর্যন্ত স্বামী আব্দুস সালামের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। শিংনগর গ্রামের বাসিন্দা ইমরুল হাসান রাজু জানান, সিংনগর গ্রামের আব্দুস সালাম এবং তার স্ত্রী তারজিনা খাতুন পরের জমিতে কামলা খাটতেন। গত সোমবার বিকেলে কামলা খেটে আর তারা আর বাড়িতে ফেরেন নি। উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, বুধবার রাতে উথলী গ্রামের কয়েকজন কৃষক মাঠে যাওয়ার সময় স্থানীয় কোমর পাড়া মাঠের এক আখ ক্ষেতে বিবস্ত্র নারীর মৃতদেহ দেখতে পায়। পরে এলাকাবাসী সনাক্ত করেন উদ্ধার হওয়া বিবস্ত্র মৃতদেহ নিখোঁজ হওয়া তারজিনা খাতুনের। জীবননগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, গতকাল রাতে খবর পেয়ে উথলী গ্রামের একটি মাঠ থেকে এক গৃহবধূর বিবস্ত্র মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে স্বামী আব্দুস সালাম টাকার জন্য নিজেই তার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। স্বামী আব্দুস সালাম বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযানে নেমেছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: