চট্টগ্রামে শিক্ষা স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত: ০১ মার্চ ২০২১, ০৪:৫৪ পিএম
ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ, চট্টগ্রাম থেকে: বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার (Earl R Miller) বলেছেন, চট্টগ্রামের আর্থনৈতিক ও ভৌগলিক গুরুত্ব ও অপার সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে এখানে আমরা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। চট্টগ্রামে বর্তমানে যে ভাবে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে তাতে তার ইতিবাচক প্রভাব চট্টগ্রামসহ জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও প্রতিফলিত হওয়ার সুষ্পষ্ট সম্ভাবনা বিদ্যমান। বিশেষ করে, এই প্রেক্ষিত বিবেচনায় চট্টগ্রামে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী। এজন্য আমাদের দূতাবাসের বাণিজ্যিক কাউন্সিলরকে পর্যবেক্ষণ ও সম্ভাব্যতা যাচাই পূর্বক প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে তাঁর অফিস কক্ষে সাক্ষাতকালে চট্টগ্রামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বিষয়ে মেয়রের আহবানের প্রেক্ষিতে এই আশ্বাস প্রদান করেন। এসময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, চট্টগ্রাম ভূ-প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্যে একটি বৈচিত্র্যময় অপরুপ নগরী। এখানে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক বন্দর। এই চট্টগ্রাম বন্দর শুধু জাতীয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রধান অবলম্বন নয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক পোতাশ্রয়। তাই চট্টগ্রামের প্রতি আমাদের আগ্রহ ও সুনজর রয়েছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কর্ম করে যাচ্ছেন। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রতি যত্নশীল। মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বক্তব্যের আলোকে বলেন, সিটি মেয়র অত্যন্ত সুন্দরভাবে চট্টগ্রামের গুরুত্ব সম্ভাবনা এবং সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম ও সেবার পরিধি নিয়ে যেসব কথা বলেছেনে তার সাথে আমি সহমত পোষন করি। কুটনৈতিক পেশাগত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমি তাঁর পরামর্শ ও প্রস্তাবনা সমূহ বিবেচনা করতে আন্তরিকভাবে আগ্রহী। তিনি আরও বলেন, বে-টার্মিনাল, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প, মহেশখালী গভীর সমুদ্র বন্দর, চট্টগ্রাম বন্দর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ, চট্টগ্রাম নগরীতে আউটার রিং রোড নির্মাণ, মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নতুন নতুন পর্যটন স্পট, উপ-শহর এবং অর্থনৈতিক জোন স্থাপনের মধ্য দিয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রাম শিল্পায়ন ও বহুমাত্রিক উন্নয়নে বিদেশী বিনিয়োগের উর্বর ভূমি হিসেবে পরিগণিত হতে যাচ্ছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উদ্দেশ্যে মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আইটিসহ বিভিন্ন বেসরকারি খাতে আপনাদের সরকারের বিনিয়োগ ও সহায়তা প্রদানের সুবিবেচনা বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বকে আরো উন্নত ও সদৃঢ় করবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌলী রফিকুল ইসলাম মানিক।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: