দেড় বছরেও উদ্ধার হয়নি কলেজছাত্রী নাছিমা!

প্রকাশিত: ০৪ মার্চ ২০২১, ০৬:৪৩ এএম
‘থানায় গেলাম, আদালতে গেলাম, দেড় বছরেও উদ্ধার হয়নি অপহৃতা কলেজছাত্রী নাছিমা আক্তার(১৯)। মামলার প্রধান আসামী রাজিব মিয়া জামিনে বেড়িয়ে দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে’ এমনি অভিযোগ মামলার বাদী আব্দুল গফুরের। ১২ জুন ২০১৯ ইং নেত্রকোণা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ডিগ্রি ১ম বর্ষের ছাত্রী কলেজ থেকে আর বাড়িতে ফিরেনি নাছিমা। ৪ জুলাই নেত্রকোণা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ভগ্নিপতি আব্দুল গফুর (৩৮) । জিডি নং- ১৮৪ তাং ৪-৭-২০১৯ ইং। ৭ জুলাই (রবিবার) আদালতে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল- নেত্রকোণা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০( সংশোধিত-২০০৩) এর ৭/৩০ ধারায় মোঃ কাজিব মিয়া ওরফে রাজিব (২৩) সহ অজ্ঞাতনামা আরোও দুইজন সহ মোট তিন জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন ভগ্নিপতি আব্দুল গফুর। যাহা- নারী ও শিশু মোঃ নং ৪০৪/ ২০১৯। অপহৃতা নাছিমা নেত্রকোণা সদর উপজেলার ১০নং রৌহা ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর মেয়ে। অভিযুক্ত রাজিব পার্শ্ববতী গ্রাম পূর্বধলা উপজেলার খলিশাপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া লাঙ্গলজোড়া গ্রামের মোঃ ওয়াজিবুর রহমানের ছেলে। মামলার এজাহারে জানা যায়, পার্শ্ববতী নোয়াপাড়া লাঙ্গলজোড়া গ্রামের মো. ওয়াজিবুর রহমানের ছেলে মো. রাজিব ঘটনার দিন ও সময় নাছিমা কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তা থেকে রাজিব তার সঙ্গীদের সহায়তায় অপহরণ করে নিয়ে যায়। ৬ ভাই-বোনের মধ্যে ৫ম নাছিমা। শশুর মারা যাওয়ার পর হতে অতি আদুরে ছোট বোনের মত লালন পালন করে আসা নাছিমাকে উদ্ধারে মামলাটি করেন বলে জানান, ভগ্নিপতি আব্দুল গফুর। রাজিবের পিতা মোঃ ওয়াজিবুর রহমান জানান, থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানার পর সবাই মিলে নাছিমাকে খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যাচ্ছে না। এব্যপারে রাজিবের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। দেড় বছরেও ভিক্টিম উদ্ধার না হলেও আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল) দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, নেত্রকোণা মডেল থানা। ন্যায় বিচার প্রত্যাশায় আদালতে নারাজি দেন মামলার বাদী আঃ গফুর। বর্তমানে মামলাটি পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো অব বাংলাদেশ (পিবিআই) এ তদন্তাধীন আছে। জীবিত অথবা মৃত সন্তানকে শেষ দেখা দেখে যেতে চান শয্যাশায়ী নাছিমার মা মনুরা বেগম (৬০)।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: