গাজীপুরে কালিয়াকৈরে গত বুধবার (৭ এপ্রিল) রাতে সোনালী খাতুন (১২) নামের এক কিশোরী অপহরণের শিকার হয়। এ ঘটনায় গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক পৌর কাউন্সিলর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় কিশোরী অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অপহৃত ব্যক্তি হলো সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার সগুনা এলাকার শাহ আলম সরকারের মেয়ে সোনালী খাতুন (১২)।
অপহৃতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার কালামপুর এলাকায় সুলতান মাস্টারের বাড়ি ভাড়া থাকেন সুলতানা খাতুন ও তার স্বামী জাহিদ হাসান। কয়েক মাস আগে কিশোরী সোনালী তার বোন সুলতানার বাসায় বেড়াতে আসে। এরই মধ্যে স্থানীয় মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে শাকিল হোসেন ওই কিশোরীকে রাস্তা-ঘাটে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতে থাকে।
বিষয়টি বড় বোন সুলতানাকে জানালে তিনি এলাকার গণ্যমান্যদের জানায়। এতে শাকিল ক্ষিপ্ত হয়ে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কাশেম ও তার সহযোগী হাফিজুর রহমান, শ্রীবাসের মাধ্যমে ওই কিশোরী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই কিশোরী তার বোনের বাসার পাশে হাটা-হাটি করছিল।
এসময় ওই কাউন্সিল, শাকিল, হাফিজুর, শ্রীবাসসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন লোক তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক একটি সিএনজি যোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বোনকে সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ওই দিন রাতেই স্থানীয় কাউন্সিলর আবুল কাশেম, শাকিল, হাফিজুর, শ্রীবাসসহ অজ্ঞাত নামা আরও ২-৩ জনের নামে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অপহৃত কিশোরীর বড় বোন সুলতানা জানান, অপহরণকারীরা আমার ছোট বোন সোনালীকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। তারা আমার বোনকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখেছে। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজার পর বোনকে না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। আমার ছোট বোনকে সুস্থভাবে ফিরে পেতে চাই।
অভিযুক্ত কাউন্সিলর আবুল কাশেম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে রাত ১টার দিকে থানা থেকেও আমাকে ফোন দিয়েছিল। তবে শুনেছি শাকিল আর ওই মেয়ে ভালোবাসা করে চলে গেছে। কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাঠকের মন্তব্য: