লকডাউন বাড়লে ফ্লাইটের ব্যাপারের যে সিদ্ধান্ত জানালো বেবিচক

প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২১, ০৫:৫৩ এএম
আশরাফুল হক সৌদি প্রবাসী। আগামী ২৫ এপ্রিলের ফ্লাইটের টিকিট আছে তার কাছে। কিন্তু তিনি এখন অনিশ্চয়তায়। তার প্রশ্ন, ২০ এপ্রিলের পর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্বাভাবিকভাবে চলবে তো? এমন প্রশ্ন হাজার হাজার প্রবাসীর। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও ঘোষণা দেয়নি সরকার। তবে দেশে লকডাউনের সময়সীমা বাড়লে সে সময়ে ফ্লাইট বন্ধ রাখা হতে পারে। একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের হার যেমন বেশি, তেমনি মৃত্যুর হারও। করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও টানা দুই সপ্তাহের লকডাউন দেওয়ার সুপারিশ করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী কমপক্ষে তিন সপ্তাহের লকডাউন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। আর সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত না বদলালে এ সময়ে বন্ধ থাকবে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) একাধিক কর্মকর্তা বলেন, আমরা (বেবিচক) একক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফ্লাইট বন্ধ কখনও করিনি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে বৈঠক হয়। সেখানে যে সিদ্ধান্ত হয় তা বাস্তবায়ন করতে বেবিচক পদক্ষেপ নেয়। এবার আমরা প্রবাসী কর্মীদের কাজে ফেরার কথা বিবেচনা করে স্বল্প পরিসরে হলেও ফ্লাইট চালু রাখার সুপারিশ করেছিলাম। কিন্তু সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বন্ধের নির্দেশ আসে। পরবর্তীতে আবার যদিও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়, ৫টি দেশে প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট চালুর ব্যবস্থা করা হয়। এখন পর্যন্ত এই ৫টি ছাড়া অন্য দেশে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে ইতিবাচক কোনও নির্দেশনা আসেনি। ফলে লকডাউন বাড়লে এই ৫ দেশ ছাড়া অন্য দেশে ফ্লাইট বন্ধ থাকার সম্ভাবনা বেশি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, সোমবার (১৯ এপ্রিল) কেবিনেট সচিব মহোদয়ের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে এসব বিষয়ে আলোচনা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত হবে। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক বিধিনিষেধের’ ঘোষণা দেয়। সে আলোকে ১৪ থেকে ২০ এপ্রিল অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দেয় বেবিচক। এতে বিপাকে পড়েন প্রবাসী কর্মীরা। তাই দ্রুত ফ্লাইট চালুর দাবি করেন প্রবাসী কর্মীরা। জনশক্তি রফতানি খাতের ব্যবসায়ীরাও সংবাদ সম্মেলন করে ফ্লাইট চালুর দাবি তোলেন। ১৫ ও ১৬ এপ্রিল কয়েক দফা আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, ১৭ এপ্রিল থেকে পাঁচটি দেশে ফ্লাইট প্রবাসীদের কাজে ফেরাতে পরিচালনা করবে ১২টি এয়ারলাইন্স। এই পাঁচটি দেশ হচ্ছে—সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর। ১২টি এয়ারলাইন্স হচ্ছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স, ওমান এয়ার, সালাম এয়ার, কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, ইতিহাদ, এয়ার অ্যারাবিয়া, এয়ার অ্যারাবিয়া আবুধাবি, ফ্লাই দুবাই ও সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: