৫০০ ফুট এলাকায় গ্যাস লাইন ফেটে বের হচ্ছে গ্যাস

প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২১, ০৩:৩২ এএম
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলের প্রায় ৫০০ ফুট এলাকায় গ্যাস লাইন থেকে গ্যাস বের হচ্ছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কে যানবাহন ও মানুষ চলাচল করছে। এ ছাড়াও ওই এলাকায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন বলে জানা গেছে। গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউশন লাইন হতে দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়ক ভেদ করে গ্যাস বের হলেও তিতাস কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, ওই মহাসড়কের পাশ দিয়ে ঢাকা থেকে মির্জাপুরের ওপর দিয়ে গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউশন লাইনটি উত্তরবঙ্গে নেওয়া হয়েছে। মহাসড়কটি ব্যস্ততম হওয়ায় গত ৫ বছর আগে ফোর লাইন উন্নিতকরণ কাজ শুরু হয়। মহাসড়কের গোড়াই এলাকায় ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজও চলমান রয়েছে। গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউশন লাইন থেকে মহাসড়ক ভেদ করে প্রায় ৫০০ ফুট এলাকায় বের হওয়া গ্যাস এলাকাবাসীর মধ্যে প্রতিনিয়ত আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চল এলাকায় ছোট বড় মিলে প্রায় অর্ধশত কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক রয়েছে। শ্রমিকদের ঘিরে মহাসড়ক সংলগ্ন গোড়াই এলাকায় একটি কাঁচা বাজারও স্থাপন করা হয়েছে। শিল্প এলাকা হওয়ায় বাজারটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। ডিস্ট্রিবিউশন লাইন থেকে মহাসড়ক ভেদ হয়ে বের হওয়া গ্যাস একদিকে মানবদেহের ক্ষতি করছে। অন্যদিকে, বিপুল পরিমাণ গ্যাস অপচয় হচ্ছে। বের হওয়া গ্যাসে যেকোনো মুহূর্তে আগুন লেগে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মহাসড়কে চলাচলকারীরা জানিয়েছেন। গোড়াই বাজারে আসা কমফিট কম্পোজিট নীট লি. এর শ্রমিক আকরাম হোসেন, নাহিদ কটন মিলের নারী শ্রমিক রোকেয়া বেগম, শিল্পী, সাউথ ইস্ট ফেব্রিক্স লি. এর শ্রমিক আরিফ হোসেন বলেন, মহাসড়কের পাশ দিয়ে চলাচলের সময় গ্যাসের গন্ধে নাক চেপে যেতে হয়। যেকোনো সময় আগুন লাগতে পারে। এজন্য ভয়ও কাজ করে। ইয়ুথ স্পিনিং মিলস লিমিটেড এর নিরাপত্তাকর্মী কবির হোসেন জানান, তাদের কারখানার সামনে কয়েক বছর ধরেই গ্যাস বের হচ্ছে। প্রথমদিকে ভয় কাজ করলেও এখন করে না। গোড়াই বাজারের ব্যবসায়ী রহমান মিয়া, সুমন, জুয়েল বলেন, গোড়াই বাজারের ব্যবসায়ীরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পাইপ থেকে বের হওয়া গ্যাস একদিন বিপদ ডেকে আনবে বলে তারা মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক জানান, মহাসড়ক ভেদ করে বের হওয়া গ্যাস এলাকাবাসীর আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। গোড়াই ইউনিয়ন (পূর্ব) আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিবিএ নেতা মো. আশরাফ খান জানান, মহাসড়কে বিপুল সংখ্যাক যানবাহন চলাচল করে থাকে। এ ছাড়া শিল্পাঞ্চল হিসেবে খ্যাত গোড়াই এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিকসহ প্রায় ৭০ হাজার মানুষের বসবাস। লকডাউন চলাকালীন সময়ে যানবাহন চলাচল ও কারখানা বন্ধ রয়েছে। এ কারণে মানুষের চলাচল কম। মহাসড়কে গ্যাস বের হওয়ার বিষয়টি অনেকবার তিতাস গ্যাস টাঙ্গাইল অফিসের ম্যানেজারকে অবহিত করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে লাইনটি সংস্কার করা না হলে গ্যাস লাইন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তিনি। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগ গাজিপুর অফিসের অপারেশন ম্যানেজার রেজাউনুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নতুন পাইপ লাইনের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যেই শুরু করা হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: