সারা দেশে প্রবল বৃষ্টি, আবহাওয়া নিয়ে আরো যা জানা গেল

প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২১, ০৫:৩৩ পিএম
আজ শুক্রবারও (৩০ জুলাই) দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হবে এবং আগামীকাল শনিবার থেকে বৃষ্টিপাত কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে, ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে দেশের কিছু এলাকায় নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। দু-এক জায়গায় পানি কমেছে। বন্যার কারণে সড়ক যোগাযোগ ভেঙে পড়েছে কক্সবাজারের চকরিয়ায়। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। বাগেরহাটে টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে সাড়ে ১৬ হাজার চিংড়িঘের ও পুকুর। টানা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমির বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে। পানি বাড়ায় এবং তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বৃষ্টির কারণে ১২টি ইউনিয়নের বেশির ভাগ মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। সাগরের লঘুচাপ ও জোয়ারের পানিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দুমকী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। বৃষ্টির কারণে পানি বাড়তে থাকায় ভাঙনের মুখে পড়েছে মনপুরার বেড়িবাঁধ। তবে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির কিছু উন্নতি ঘটেছে। টানা বর্ষণ ও পার্বত্য অববাহিকার মাতামুহুরী নদীর পানিতে ভয়াবহ বন্যার মুখে পড়েছে চকরিয়ার প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকাই এখন পানির নিচে। কোথাও কোথাও পানির উচ্চতা ১০ ফুট। এরই মধ্যে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গেছে। তলিয়ে গেছে প্রায় ২০ হাজার একর চিংড়িঘের ও পাঁচ শতাধিক পুকুর। যোগাযোগব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। দুই দিন ধরে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। চকরিয়া পৌরসভা ছাড়া কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বমুবিলছড়ি, লক্ষ্যার চর, ফাঁসিয়াখালী, কৈয়ারবিল, হারবাং, বরইতলী, ডুলাহাজারা, খুটাখালী, চিরিঙ্গা, সাহারবিল, পূর্ব বড় ভেওলা, বিএম চর, কোনাখালী, ঢেমুশিয়া, পশ্চিম বড় ভেওলা, বদরখালী, পেকুয়া সদর, বারবাকিয়া, শীলখালী, রাজাখালী ও টৈটং ইউনিয়নের অনেক গ্রাম বন্যার কবলে পড়েছে। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, ‘উপজেলার ৮০ শতাংশ এলাকা বানের পানিতে ভাসছে। এরই মধ্যে আমরা ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছি।’ কয়েক দিন ধরেই লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে স্থল নিম্নচাপ আকারে বাংলাদেশের খুলনা-সাতক্ষীরা অঞ্চল এবং তত্সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় অবস্থান করছে। একই সঙ্গে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। ফলে আজ শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর পর থেকে কমবে বৃষ্টিপাত।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: