চলতি বছরের গত ৩ মে দুর্ঘটনার পর নিবন্ধন না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের স্পীডবোট চলাচল। এবার বন্ধ অনিবন্ধিত স্পীডবোট গুলো নিবন্ধন কার্যক্রম শেষে আবারো সচল হতে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বিআইডাব্লিউটিএ থেকে চালকদের প্রশিক্ষণ, পরীক্ষা গ্রহণ শেষে উত্তীর্ণদের মাঝে সনদ প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে শিমুলিয়া বন্দরের বিআইডব্লিউটিএর প্রাঙ্গণে প্রশিক্ষণ ও পরিক্ষাগ্রহণ শেষে ১৩৬ জন চালকের মাঝে যোগ্যতা সনদ প্রদান করা হয়।
নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও শিপ সার্ভেয়ার মো. মঞ্জুরুল কবিরের তত্ববধানে বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া ঘাটের স্পিডবোট চালকরা কর্মশালায় অংশ নিয়ে পরীক্ষা দেন। পরে উত্তীর্ণদের সনদ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী ও জাহাজ জরিপকারক এবং অভ্যন্তরীণ নৌযান রেজিস্টার মো. মাহবুবুর রশিদ, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন কাজী মুহাম্মদ হাসান, মুখ্য পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান বিএম আতাউর রহমান আতাহার, মেদিনীমণ্ডল ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩ মে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবােট ৩১ জন যাত্রী নিয়ে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটের দিকে যাচ্ছিল। স্পিডবােটটি পুরােনাে কাঁঠালবাড়ি ঘাটের কাছাকাছি আসার পর সেখানে নােঙর করে রাখা বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবােটটি উল্টে গিয়ে ২৬ জনের প্রাণহানি হয়। এ ঘটনার পর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনিবন্ধিত স্পিডবোট ও চালকদের লাইসেন্স ছাড়া এ নৌপথে স্পিডবোট চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় বিআইডব্লিউটিএ।
পাঠকের মন্তব্য: