আমার কছম ওরে কিছু বলবানা, আমি ওকে অনেক ভালোবাসি!

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২১, ০৫:৪৮ পিএম
মেহেদী হাসান, পাথরঘাটা থেকে: বরগুনার পাথরঘাটায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন রাজিয়া সুলতানা (১৮) নামে এক তরুণী। গত (১৪ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে তাঁর ঝুলে থাকা মৃতদেহ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন। মৃত রাজিয়া সুলতানা বরগুনার তালতলী উপজেলার লাউপাড়া এলাকার ফজলুল হকের মেয়ে। ঘটনার পর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। এরপর থেকে আত্মহত্যার পেছনের কারণ উদঘাটনের চেষ্টায় অনুসন্ধান শুরু করে থানা পুলিশ। এর ই-মধ্যে আত্মহত্যার একদিন পর একটি চিঠি উদ্ধার করেছে পুলিশ।চিঠিতে লেখা, 'যদি পারো আমাকে মাফ কইরো, আর ওরে কিছু বইলোনা, আমি ওরে খুব ভালোবাসি, আমার কছম ওরে কিছু বলবা ওর নাম কারো কাছে বলবানা, আর আমাকে দাদুর বাড়িতে দাফন কইরো।' ময়নাতদন্ত শেষে এই চিঠি উদ্ধারের পর গভীর অনুসন্ধান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মামুন। তিনি জানান, শুক্রবার সকালে লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে তালতলীতে দাফন করা হয়েছে। তার স্বজনরা পাথরঘাটায় ফিরে এলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজিয়ার সঙ্গে তাঁর চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। রাজিয়ার সঙ্গে রফিকুলের প্রেমের সম্পর্কে পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত গড়ায়। তবে তা আবার ভেঙে যায়। এ কারণে রাজিয়াকে পাথরঘাটায় তাঁর খালার বাড়িতে পাঠানো হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। তবে মাঝে মাঝে রাজিয়ার সঙ্গে রফিকের যোগাযোগ হতো। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার আত্মহত্যার আগেও রফিকের সঙ্গে রাজিয়ার কথা হয়। তবে কি কথা হয়েছে সে বিষয়ে জানা যায়নি। রাজিয়া সুলতানার খালা লাবণী আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আমার ছোট ছেলেকে রাজিয়ার কাছে রেখে বড় মেয়েকে নিয়ে আমি স্কুলে যাই। কিন্তু স্কুল থেকে ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ পাই। পরে অনেক ডাকাডাকির পরেও না খোলায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় রাজিয়াকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। লাবনী আক্তার আরও বলেন, আমার ভাগনি রফিকুলের গালাগালি সহ্য না করতে পেয়ে ঘৃণায় আত্মহত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই। এ বিষয়য়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল বাশার বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: