মহানবী (সা:) কে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য, আটক ১

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়া এলাকায় কলেজছাত্র আকাশ সাহা ফেসবুকে মহানবীকে (সা:) নিয়ে কটূক্তির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৫ জুলাই) জুম্মার নামাজের পর বিষয়টি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের নজরে আসে। এরপর বিক্ষুদ্ধ লোকজন আকাশ সাহার গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে তাদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন। ওইদিন বিকেল থেকে উত্তেজনা আরো বাড়তে থাকে।
এদিকে ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে স্থানীয় লোকজন ৪-৫ টি বাড়িঘর এবং দিঘলিয়া বাজারের কয়েকটি দোকান ভাঙচুর ও একটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ওইদিন সন্ধ্যার পর নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের বাবা অশোক সাহাকে আটক করেছে পুলিশ।
লোহাগড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারান চন্দ্র পাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। যে বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছিল, তা নেভানো সম্ভব হয়েছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজগর আলী বলেন, আকাশ সাহা নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে ফেসবুকে মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তের বাবা অশোক সাহাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তার ছেলের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মূল অভিযুক্ত আকাশ পলাতক রয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় (পিপিএম বার)। এ সময় তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশসহ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন। এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের ও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: