বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয় ও খাদ্য উৎপাদন বাড়নোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০২২, ০৩:২৩ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন,বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয় করার পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের কাছে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তরের সময় এ কথা বলেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার পিতা এই দেশ স্বাধীন করে গেছেন, এই দেশের মানুষ যেন ঠিকানাহীন না থাকে। এই কারণেই এই উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই প্রথম করেছিলেন। তার পথ অনুসরণ করে তার হাতে গড়া বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের যেন অন্তত একটা বসবাসের জায়গা করে দেওয়া। সেই লক্ষ্য নিয়েই এই আশ্রয়ণ প্রকল্প।

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা দেশের ভূমিহীন-গৃহহীন শতভাগ মানুষকে পুনর্বাসন করবো। প্রত্যেকটা মানুষ যেন তার ঠিকানা পায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের যে সপ্ন ছিলো সেটা পূরণ করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ওষুধ-চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি। আমরা প্রত্যাকটা অঞ্চলে স্কুল তৈরি করে দিচ্ছি। প্রতিটি জেলায় জেলায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ করে দিচ্ছি। সবার হাতে মোবাইল ফোন পৌঁছে দিয়েছি। শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি। করোনা-ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ দুর্ভাগ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, আর এই যুদ্ধের সময় আমেরিকা রাশিয়ার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তাতে আমাদের সার, খাদ্য কিনতে সমস্যা হচ্ছে। কারণ, ডলার দিয়ে কেনা যায় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে সারাবিশ্ব প্রভাবিত হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ না সারা বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ও জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। খারাবের জন্য হাহাকার চলছে। এমনকি বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের অবস্থাও এখন এরকম। তিনি বলেন, এখন আমেরিকা, ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের অনেক দেশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা, পেট্রোল-ডিজেল সাশ্রয় করার; জ্বালানি সাশ্রয় করার উদ্যোগ নিচ্ছে। আমরা এখনও আমাদের দেশকে ভালোভাবে চালাতে পারছি। কিন্তু আমাদের এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। এ ছাড়া সতর্কতামূলক পদক্ষেপও আমরা নিয়েছি। তিনি বলেন, তাই আমি সবাইকে অনুরোধ করব বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে হবে। পানি ও জ্বালানি ব্যবহার সাশ্রয় করতে হবে। আর এক ইঞ্চি জমি যেন পড়ে না থাকে, প্রত্যেকে খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। কারণ, অনেক উন্নত দেশে খাদ্যের জন্য হাহাকার। ইংল্যান্ডের মতো জায়গায় লন্ডনে এক লিটারের বেশি খাবারের তেল কেউ কিনতে পারে না।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। এখন আমরা দেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। বাংলাদেশ সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করেই এগিয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আজ আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের আরও ২৬ হাজার ২২৯ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘোর প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: