অনাবৃষ্টির হাত থেকে মুক্তি পেতে রং মেখে নেচে গেয়ে ব্যাঙের বিয়ে!

আষাঢ় মাস শেষ হয়ে শ্রাবণের প্রথম সপ্তাহও আজ। কিন্তু দেখা নেই বৃষ্টির। এই অবস্থায় বৃষ্টির আশায় গ্রাম বাংলার প্রাচীন রীতি পালন করে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অভিনবভাবে ব্যাঙের বিয়ের ব্যবস্থা করেন।
শুক্রবার (২২ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রং মেখে নেচে গেয়ে চলে বিয়ের অনুষ্ঠান। ব্যাঙ বর-কনের বিয়ে পড়ান স্থানীয় পুরোহিত শ্রী বৈশাখ পাহান।
আয়োজকেরা জানান, জনশ্রুতি রয়েছে ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হয়। আর সেই কারণে গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অভিনবভাবে এই বিয়ের ব্যবস্থা করেন। ক্যালেন্ডারের পাতা বলছে আষাঢ় মাস শেষ হয়ে পার হতে চলল শ্রাবণের প্রথম সপ্তাহও। কিন্তু রোপা আমন ধান চাষ করার মতো পর্যাপ্ত পানি জমিতে নেই এবং অনাবৃষ্টির ও খরার কারণে কৃত্রিমভাবে জমিতে পানি দিয়ে পানি ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। যে জমিগুলোতে চারা রোপণ করা হয়েছে, সেই জমিগুলো পানির অভাবে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। অনাবৃষ্টির হাত থেকে মুক্তি পেতে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করা হয়।
পুরোহিত বৈশাখ পাহান বলেন, 'অনাবৃষ্টি ও খরা থেকে মুক্তি পেতে প্রথমে শিশুরা এই ব্যাঙের বিয়ের উদ্যোগ নিলেও পরে তা উৎসবে রূপ নেয়। বড়রাও যোগ দেন। আমাদের বিশ্বাস এই ব্যাঙের বিয়ের মধ্য দিয়ে অনাবৃষ্টি ও খরা কেটে যাবে।'
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, 'অতীতেও এভাবে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়ার পর বৃষ্টির দেখা মিলে ছিল। এবারও সেই আশা থেকে এই আয়োজন করা হয়েছে। গতবার ব্যাঙের বিয়ের দিন দুপুর থেকেই বৃষ্টি হয়েছিল।'
এ বিষয়ে ব্যাঙ বরের মা প্রতিমা বলেন, অনেক বছর ধরে দেখে আসছি অনাবৃষ্টি হলেই এই গ্রামের সবাই মিলে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করে। অনেক সময় বৃষ্টিও হয়েছে। তাই মানুষের কাছে এক প্রকার বিশ্বাস হয়ে গেছে, ব্যাঙের বিয়ে দিলেই বৃষ্টি হবে। সেই আশাতেই ব্যাঙের বিয়ে দিয়ে ঈশ্বরের কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করতেছি।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: