দেশ এখন খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্ন: এলজিআরডি মন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২২, ০৭:৩০ পিএম

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম বলেছেন, এক সময় বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের জাতি বলা হতো। কিন্তু সেই দিন আর নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ ভিক্ষুকের জাতি থেকে মুক্তি পেয়েছে। দেশ এখন খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্ন। কমিউনিটি ক্লিনিক করে তৃণমুল পর্যায়ে স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় নিজ নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের পোমগাঁও গ্রামের নিজ বাড়িতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাকর্মী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন- যোগাযোগ, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি ও স্বাস্থ্যসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বইসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা চালু করায় আজ রিকশাওয়ালার ছেলে, কৃষকের মেয়ে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন- ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠায় কোনো আপোষ নয়। সমাজে ন্যায় বিচার কায়েম ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মানুষের সাথে সদাচরণ করতে হবে। সমাজে অন্যায় অবিচার হতে দেওয়া যাবে না। মানুষের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের। জনসেবার কোনো ত্রুটি হতে দেওয়া যাবে না। মানুষের আমানতের কোন হেরফের হলে আপনারা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দায়ী থাকবেন। জনপ্রতিনিধি ও নেতা নির্বাচনে যোগ্য লোকদের নির্বাচন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ অপরিহার্য। দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি, দারিদ্র বিমোচন, ইন্টারনেট সুবিধা সবই শেখ হাসিনার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা নিজ যোগ্যতায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠায় আমার অবস্থান স্পষ্ট। হারাম খাওয়ার জন্য, চুরি করার জন্য, জনগণের সাথে প্রতারণা করার জন্য আমি সংসদ সদস্য হই নাই। আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন। অতীতে আমার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র, হামলা ও কুৎসা রটনা করা হয়েছে। কিন্তু আমি বিচলিত হই নাই। আমি আপনাদের সেবা করতে এসেছি, আমি আপনাদের সন্তান, আপনাদের দোয়া চাই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ মহসিন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা মো. ইফতেখার আলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাসরুল্লাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, এলজিআরডি মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়কারী ও যুবলীগ নেতা মো. কামাল হোসেন প্রমুখ।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: