প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয়া নারীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আটক ২

প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২২, ০৮:৪৯ পিএম

সোনারগাঁয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয়া রোকসানাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। শুক্রবার (২২ জুলাই) রাতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ভবেরচর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন মো. মনির হোসেন (৪৫) এবং মো. আমির হোসেন (৪০)। শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে অবস্থিত র‌্যাব-১১'র সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১১'র অধিনায়ক লে.কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, গত ১৮ই জুলাই সোনারগাঁয়ের সাদিরপুর ইউনিয়নের বাইশটেকী দেওয়ান বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়া এক সন্তানের জননী রোকসানা বেগম (৩২) কে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ছোট ভাই মোঃ এনামুল হক (২৫) বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। তিনি আরো জানান, ভিকটিম রোকসানা বেগম এর স্বামীর সাথে তার বিগত ৭/৮ বছর পূর্বে নিয়ম মোতাবেক বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকে ভিকটিম তার একমাত্র ছেলে শুভকে নিয়ে ছোট ভাই মোঃ এনামুল হক (২৫) এর বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেেন। সে জীবিকার জন্য উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বাইশটেকী গ্রামের দেওয়ান বাড়িতে জামদানী শাড়ী তৈরির কাজ করতেন।

সেই সুবাদে উক্ত বাড়ীর মৃত রাজু মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (৪৫) এর সঙ্গে ভিকটিম রোকসানা বেগম (৩২) এর দীর্ঘদিনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে ভিকটিম বিয়ের ব্যাপারে মনির হোসেনকে চাপ দিলে আসামী মনির নিজ মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়।

গত ১৫ জুলাই আসামি মনিরের মেয়ের বিয়ে হলে ভিকটিম গত ১৮ জুলাই বিয়ের দাবিতে মনিরের বাড়িতে অবস্থান নেন রোকসানা। এসময় মনিরের বাড়ির লোকজন তাকে একাধিকবার বাড়ির বাইরে টেনেহিঁচড়ে বের করে দেয়। ভিকটিম তার অবস্থানে অনড় থাকায় মনির হোসেন, তার ভাই গোলজার, খোকন ওরফে খোকা, ছেলে রানা, মনিরের স্ত্রীসহ অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমকে লোহার পাইপ, লাঠিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে মারাক্তকভাবে রক্তাক্ত করে আহত করে। মুমূর্ষ অবস্থায় ভিকটিমকে মনির হোসেন ও তার সহযোগীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে মৃত ঘোষনা করেন। ভিকটিমের মৃত্যুর সংবাদ জানার পর মনির ও তার সহযোগীরা লাশ রেখেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।

তিনি জানান, উক্ত হত্যা মামলার তদন্তের জন্য গ্রেপ্তারকৃত আসামীদ্বয়কে তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: