ক্ষমতার কোনো অভাব দেখছেন না সিইসি

প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২২, ০৩:১৮ পিএম

মেহেদী হাসান হাসিব, নিজস্ব প্রতিবেদক: সংবিধান, আইন, বিধিসহ নানা ধরনের আইনগত বিষয় তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন আমাদের ক্ষমতার খুব একটা ঘাটতি দেখছি না। ক্ষমতা খুব একটা অভাব আছে-এটা ফিল করছি না। রবিবার (২৪ জুলাই) নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের ষষ্ঠ দিনে একথা বলেন তিনি।

সকালে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও দুপুরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি। জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয় সংলাপে।

সিইসি বলেন, আমাদের ক্ষমতার খুব একটা ঘাটতি দেখছি না।ক্ষমতা খুব একটা অভাব আছে-এটা ফিল করছি না। আইনানুগভাবে প্রয়োগ করলে সহযোগিতা দেন, সমর্থন না দিয়ে বিরুদ্ধাচারণ করেন তাহলে কঠিন হবে। আমাদের উপর আরোপিত ক্ষমতাগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করবো।

জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার লিখিত বক্তব্যে জানায়, জাসদ মনে করে- কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ বা বর্জনের বিষয়টি একান্তই সেই রাজনৈতিক দলের নিজস্ব রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা বর্জনের বিষয়সহ কোনো রাজনৈতিক বিতর্কেই ইসির জড়িত হওয়া বা মতামত, বক্তব্য, মন্তব্য প্রদান করা উচিৎ নয়। নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক বিরোধে সালিশি সংস্থা নয়।

নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনৈতিকদের অযাচিত নাক গলানো প্রসঙ্গে জাসদ মনে করে, কতিপয় বিদেশী কূটনৈতিক ইসির কাজে কূটনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থী এবং অযাচিতভাবে নাক গলিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের উচিৎ এ ধরনের কূটনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থী অযাচিত নাক গলানোকে প্রশ্রয় না দেওয়া।

পরে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সংলাপে বলেন, আমরা সবাইকে আহ্বান করবো আপনারা আসেন। সবার বক্তব্য নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয়। শাসক দলকে বলতে শুনেছি-আমরা ওদেরকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাচ্ছি।আমরা সুষ্পষ্টভাবে বলেছি- আমরা কাউকে বাধ্য করতে পারবো না, সেটা আমাদের দায়িত্বও নয়। আমাদের দায়িত্ব সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের জন্য সবাইকে আহ্বান করা।

সিইসি জানান, বিদেশি কুটনীতিকদের দু’টি গ্রুপ কমিশনের সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন, তবে কোনো ধরনের কোনো পরামর্শ দেয় নি। এটা আগের কমিশনের মতোই ধারাবাহিকতা অনুসরণে্ ইসির সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন তারা।

সিইসি জানান, নির্বাচনের সময় বিধি বিধানগুলো কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। সে সময় ইসির দৃষ্টিভঙ্গি কঠোর হতে পারে শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। নির্বাচনে সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন সিইসি।

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড-এর কথা এসেছে। বিভিন্ন কারণে আমাদের দেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডটা কেউ বাড়িতি সুবিধা ভোগ করে, কেউ কেউ কমতি সুবিধা ভোগ করে। কোনো দিকে পক্ষপাতদুষ্ট আবার কোনো দিকে নীতিবান হয়ে পড়ি অথবা ফেল্ড লেভেলে সহায়ক হওয়ার বিষয়গুলো আসছে। সবাই যেন নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন। আমাদের দায়িত্ব মূলত একটাই। খুব বেশি দায়িত্ব আমাদের না। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো আসবে।

সিইসি বলেন, নির্বাচনে অনেক সময় সহিংস হয়ে পড়ি অথবা অসংযত হয়ে পড়ি। আপনাদের সহায়তা চাইব- ভোটার যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে; কাকে দিল কাকে দিল না এটা মাথার ব্যাথার বিষয় না। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা চাইব। সহযোগিতা পেলে কঠিন কাজও অসাধ্য নয় বলে মনে করেন সিইসি।

এসময় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিবস সংলাপে উপস্থিত ছিলেন। বিকালে বিএনপি জোটের শরিক জেএসডি সংলাপে অংশ নিচ্ছে না। এরপর ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ-এর সঙ্গে সংলাপসূচি রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: