প্রেমিক-প্রেমিকাকে দেখে ফেলাই কাল হয়েছিলো শিশুটির

প্রায় এক বছর আগে হবিগঞ্জের মাধবপুরে বাঁশঝাড় থেকে তাকমিন আক্তার লিজা নামে এক শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উন্মোচনের দাবি করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেটিগেশন (পিবিআই)। সংস্থাটি বলছে, শিশুটি প্রেমিক-প্রেমিকার সাক্ষাৎ দেখে ফেলে এবং মেয়েটির মাকে জানিয়ে দেয়। এ কারণে তাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়। এর জেরেই শিশুটিকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। ইতিমধ্যে ওই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত তাকবীর হাসানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে হয়েছে।
আজ সোমবার (২৫ জুলাই) বিকালে পিবিআইয়ের হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মো. আল মামুন শিকদার গণমাধ্যমকমীদের এ ব্যাপারে জানান।নিহত তাকমিন আক্তার লিজা হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার আইলাবই গ্রামের মো. সাগর আলীর মেয়ে। পিবিআই জানায়, ২০২১ সালের ২১ জুলাই ঈদুল আজহার দিন ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে সেলিনা বেগম তার মেয়ে লিজাকে পাশের গন্ধব্যপুর গ্রামের একটি দোকান থেকে নুডুলস ও প্রয়োজনীয় কিছু দ্রব্য সামগ্রী কিনে আনার জন্য পাঠান। পরবর্তীতে তার মেয়ে নুডুলস নিয়ে বাড়িতে ফিরে না এলে আশেপাশের সম্ভাব্য সব জায়গা ও আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু মেয়ের কোনো সন্ধান না পেয়ে সেলিনা বেগম মাধবপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে ২৫ জুলাই বাঁশ ঝাড়ের ভেতরে লিজার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় লিজার বাবা সাগর মিয়া বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পরবর্তীতে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি বাহার উদ্দিন এবং গত ৯ ফেব্রুয়ারি খাদিজা আক্তার তাজরীন ও আমেনা খাতুন আঞ্জু নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তাকবীর হাসান ভিকটিম লিজাকে গলাটিপে হত্যা করে পালিয়ে যান। এরপর থেকে তাকবীরকে গ্রেপ্তারের জন্য পিবিআই হবিগঞ্জ টিম বিভিন্নভাবে প্রচেষ্টা চালাতে থাকে।
পরবর্তীতে গত ২৩ জুলাই তাকবীর হাসানকে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত তাকবীর হাসানের বরাত দিয়ে পিবিআই জানান, তার সঙ্গে তার গ্রামের একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক চলাকালীন সময় একদিন সন্ধ্যায় তারা দেখা করতে গেলে লিজা তাদেরকে একত্রে দেখে ফেলে। লিজা আক্তার তাদের প্রেমের ঘটনাটি মেয়েটির মাকে জানিয়ে দেয়। এতে মেয়েটির সঙ্গে তাকবীরের প্রেমের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। এই ঘটনার কারণে তাকবীর হাসান লিজাকে গলাটিপে হত্যা করেন।
গ্রেপ্তারকৃত তাকবীর হাসান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঝুমু সরকারের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: